হাওড়ার (Howrah) নাজিরগঞ্জে মৃত কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। এরপর নারী নির্যাতন নিয়ে রাজ্য় সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, 'স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস নেতার লোকজন মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে বাধা দেয়।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'যে নির্মীয়মান বাড়ি থেকে মৃত কলেজ ছাত্রীর ওড়না ও অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া গেছে সেটির মালিক ওই তৃণমূল নেতা।' এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন অগ্নিমিত্রা। বিষয়টি রাজ্যপাল ও জাতীয় মহিলা কমিশনের নজরেও আনবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,গত শনিবার এলাকার একটি পুকুরে ভাসতে দেখা যায় ওই কলেজ ছাত্রীর দেহ। যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের তরফে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ছাত্রী। মিসিং ডায়েরিও করে ছাত্রীর পরিবার। তারপরে শনিবার পুকুরে ভাসতে দেখা যায় তাঁর দেহে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাদের মেয়ের দেহ। ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ করা হয়। পালটা অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ।
অন্যদিকে এদিন অগ্নিমিত্রা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই ভবানীপুর ছেড়ে উনি নন্দীগ্রামে পালাচ্ছেন। কারণ তিনি জানেন ভবানীপুর থেকে জিততে পারবেন না, উনি যেকোনও জায়গা থেকেই দাঁড়ান জিততে পারবেন না।" পাশাপাশি এদিন বিমল গুরুং ও ছত্রধর মাহাতর নাম নিয়েও মমতাকে বেঁধেন অগ্নিমিত্রা। মমতা উদ্দেশ্যে অগ্নিমিত্রার আক্রমণ, "উনি যেভাবে রং বদলান তাতে গিরগিটিও লজ্জা পাবে। যে পুলিশ অফিসারকে দার্জিলিং-এ গুরুং খুন করল তাকেই তিনি গলা জড়িয়ে কাছে টেনে নিলেন, শুধু মাত্র রাজনৈতিক সুবিধার জন্য। ছত্রধর মাহাতরও গলা জড়িয়ে ধরেছেন। উনি সুবিধা মতো কথনও কাউকে কাছে টেনে নেন, আবার ছুঁড়ে ফেলে দেন। উনি ব্যবহার করতে ভাল জানেন। তবে বিজেপি কাউকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেয় না, সবাইকে কাছে দেকে নেয়। আর সেই কারণেই তৃণমূল খালি হয়ে যাচ্ছে, সবাই বিজেপিতে চলে আসছে" বলে দাবি করেন অগ্নিমিত্রা।