আবারও স্বমহিমায় তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। হুগলির উত্তরপাড়ায় দলের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন কল্যাণ। প্রধনমন্ত্রীর হলদিয়া তথা বাংলা সফরের সমালোচনা করে কল্যাণ বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর যদি এতই বাংলার সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা থাকে এবং যদি এতই বাঙালি হওয়ার ইচ্ছা হয় তো কয়েক মাসের জন্য নিজের পদবী বদলে নরেন্দ্র বিশ্বাস করে নিন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পদবী বদলে অমিত সাহা করে নিন।" একই সঙ্গে কল্যাণের আক্রমণ, "করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে পাঠানোর জন্য মোদী - শাহর কাছে টাকা ছিল না, কিন্তু তৃণমূলের গদ্দারদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চার্টার্ড বিমান পাঠিয়ে দিলেন।"
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে 'পাগলা ষাঁড়' বলে কটাক্ষ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিক পাগলা ষাঁড়ের কোনও বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়া তাঁর শোভা পায় না বলেও মন্তব্য করেন কল্যাণ। একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কেও আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, "১৬ জন সিআইএসএফ জওয়ানের নিরাপত্তার মাঝে থেকে বড় বড় কথা বলা ঠিক নয়। ক্ষমতা থাকলে একা এসে তাঁর মোকাবিলা করুন।"
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে 'ডাকাত' বলে নিশানা করেন কল্যাণ। শুভেন্দু হলদিয়া বন্দর থেকে শুরু করে গোটা জেলায় লুঠ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। কল্যাণের অভিযোগ, "সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন শুভেন্দু। সুদীপ্তর চিঠিতেই তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।" তৃণমূল সাংসদের চ্যালেঞ্জ, "নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দুকে সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করে দেখান।" একইসঙ্গে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন কল্যাণ। বলেন, "বাপের বেটা হলে উত্তরপাড়া থেকে নির্বাচনে লড়ে দেখান প্রবীর ঘোষাল। গোবর জলে স্নান করিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে।"
অন্যদিকে এদিন সাংবাদ মাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি উত্তরপাড়া ও শ্রীরামপুরের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিজেপির অঙ্গুলীহেলনে কাজ করার অভিযোগ তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরুদ্ধে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।