গত রবিবারই অমিত শাহের সভায় হাজির হয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। বুধবার কাঁথিতে শুভেন্দুর সমর্থনে মোদীর জনসভাতেও দেখা গিয়েছে শিশিরবাবুকে। তবে শিশির আধিকারীর বিজেপি-তে যোগের পর ক্রমেই তাঁর সেজো ছেলেটিকে নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধছিল। আমন্ত্রণপত্রও নাকি পেয়েছিলেন দিব্যেন্দু। মনে কার হচ্ছিল মোদীর কাঁথির সভায় হাজির হবেন দিব্যেন্দু অধিকারী। যদিও শেষপর্যন্ত মঞ্চে দেখা গেল না শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা সেজো অধিকারীকে। তবে কি বাবা-দাদা-ভাইয়ের পথ নেবেন না দিব্যেন্দু? থেকে যাবেন তৃণমূলেই। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করে রাজ্য রাজনীতিতে। শেষপর্যন্ত ইন্ডিয়া টুডের সামনে তা নিয়ে মুখ খুললেন হলদিয়ার সাংসদ।
বিজেপি যোগ নিয়ে দিব্যেন্দু
দিব্যেন্দু কি তাহলে কমল বনে যাচ্ছেন না? ইন্ডিয়া টুডেকে এই প্রশ্নের উত্তর সুচারু ভাবেই দিয়েছেন সেজো অধিকারী। ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, "দু-এক দিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।"
শুভেন্দুকে নিয়ে দিব্যেন্দু
নন্দীগ্রাম থেকে ছেলের জেতার ব্যাপারে আশাবাদী শিশির অধিকারী। কিন্তু দাদাকে নিয়ে কী ভাবছেন দিব্যেন্দু? শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দুই। আর নন্দীগ্রাম থেকে মমতার ভোটে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত আবেগের বশে বলেই মনে করছেন তিনি। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের আন্দোলন নিয়ে দিব্যেন্দুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সেই সময়ের আন্দোলনে পাশে থাকা মমতার সহযোগীরাই এখন তাঁকে ছেড়ে যাচ্ছেন। এর পরেই দিব্যেন্দুর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, নির্বাচনের ফলাফলেই এর জবাব মিলবে।
কাঁথিতে মোদীর জনসভায় দিব্যেন্দু হাজির না হলেও স্ত্রী সুতপা গিয়েছিলেন। স্ত্রীকে পাঠিয়ে অস্পষ্ট হলেও গেরুয়া শিবিরের দিকে তিনি বার্তা দিয়ে রাখলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অবশ্য এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি এখনও তৃণমূলের সাংসদ থাকা দিব্যেন্দু অধিকারী। এটা তাঁদের পরিবারিক বিষয় বলেই এড়িয়ে গিয়েছেন শান্তিকুঞ্জের সেজো অধিকারী।