বহিষ্কার করা হল শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়কে। ওই নেতাই রাজ্যের প্রথম দাদার অনুগামী পার্টি অফিস খুলে শিরোনামে এসেছিলেন। দলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছিলেন তিনি। এদিন বহিষ্কারের খবর পেতেই তৃণমূল নেত্রী সহ রাজ্য যুব সভাপতি বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গৌতম রায়।
বহিষ্কার করা হল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে
জানা গিয়েছে, গৌতম রায় দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এর সভাপতি গুরুপদ টুডু সাংবাদিক সম্মেলন করে গৌতম রায় কে ছয় বছরের জন্য বহিস্কার করেন। খবর পাওয়া মাত্রই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। ১৯৯৮ সালে গৌতম রায় তৃণমূলে আসেন। প্রথমে তিনি যুক্ত ছিলেন ছাত্র রাজনীতিতে। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি হন। এছাড়া তৃণমূল যুব সভাপতি, পরে জেলা সম্পাদক ও বর্তমানে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
আরও পড়ুন, খুন হতে পারেন শুভেন্দু! আশঙ্কায় রাজপালের কাছে যাবেন অনুগামীরা
দলের বিরুদ্ধে সরব ওই নেতা
এদিন তিনি বলেন, "প্রতিটা দলের একটা সিস্টেম থাকে। প্রথমে শো-কজ হয়, পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু তৃণমূল এখন এতোটাই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, যে তারা সরাসরি সাসপেন্ড করছে। দলকে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছিলাম। আজ দল সেই দাম দিল। আমাকে বহিস্কার করল। আমার সামনে কথা বলার মতো যোগ্যতা এই নেতাগুলোর নেই। আমি আনন্দিত এই পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি। তৃণমূল করা মানে একটি পাপ। গরু পাচার, নারী পাচার,কয়লা, সোনা পাচার এমন কিছু বাদ নেই, যে এরা পাচার করেনি। যে স্বপ্ন নিয়ে তৃণমূল প্রথম থেকে করছিলাম, সেটা আজ ভেঙে গিয়েছে। দিদি যে দিন থেকে পিসিমা হয়ে গিয়েছে, তবে থেকে দল ধ্বংসের দিক এগোচ্ছে। ২০২১ সালে এই দল আর থাকবে না। পুরুলিয়ায় তৃণমূল একটা সিটও পাবে না। অযোগ্য-ধান্দাবাজ নেতারা গরিবের টাকা লুঠ করছে। বিধানসভা ভোটে এদের সব শেষ হয়ে যাবে।"