ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার খানাকুলে। আহত তৃণমূল (TMC) কর্মীর নাম আইজুল আলি। আহতকে দেখতে হাসপাতালে যান পুরশুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। যদিও ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি (BJP)।
জানা গেছে আইজুল আলি এলাকায় একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। আইজুল ও তাঁর পরিবারের দাবি ভোটে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে ৫০ হাজার টাকার লোভ দেখায় বিজেপি। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। উলটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়েই প্রচার করবেন বলে জানিয়ে দেন আইজুল। অভিযোগ, এরপরেই তাঁকে মারধর করে বিজেপির লোকজন। ভাত ভেঙে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত আইজুলকে দেখতে যান এলাকার তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। সেখানে আইজুলের স্ত্রী সিরূপা বেগমের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় ভারও নেন দিলীপ। একইসঙ্গে তাঁর ওপর যাতে আর হামলা না হয় সেই বিষয়টিও তিনি দেখবেন বলে জানান দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, "বিজেপির গুন্ডারা যতই ভয় দেখাক, টাকার লোভ দেখাক, পার্টির কর্মীরা সবাই দিদির সঙ্গেই আছে। পুরশুড়া আমার সাথে আছে। আমরা দিদির আশীর্বাদে, মানুষের আশীর্বাদে পুরশুড়াতে লক্ষাধিক ভোটে বিজেপিকে হারাবো।" প্রসঙ্গত বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে টাকার লোভ দেখানোর অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যওপাধ্যায়। এই ঘটনার পর সেই অভিযোগ আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, "সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আসলে এগুলো তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।" তিনি আরও বলেন, "আরামবাগে তৃণমূলের সংগঠন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, তাই মিডিয়ায় প্রচার পেতে তৃণমূল মিথ্যে কথা ছড়াচ্ছে।"