পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়। একদিকে দ্বিধাবিভক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। পৃথক পৃথক প্রার্থীও ঘোষণা করে দিয়েছেন বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং। অন্যদিকে ঠিক সেই সময়েই পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) ফাটল। দার্জিলিং-এ নির্দল প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সেখানকার যুব তৃণমূল। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করা হয়। তবে সেখানে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার পেছনে কারণটা একটু অন্যরকম।
এই বিষয়ে দার্জিলিং শহর তৃণমূল কমিটির সভাপতি পলদন লামা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুং (Bimal Gurung) ও বিনয় তামাংকে (Binay Tamang) একজোট হয়ে লড়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা পৃথক ভাবেই লড়ছে। আমার আশা করেছিলাম বিনয় ও বিমল একসঙ্গে লড়বে এবং আমার সমর্থন দেওয়ার সুযোগ পাবো। কিন্তু তাঁরা বলছেন তৃণমূলের কোনও সাহায্যের দরকার নেই। তাঁরা এমন করছেন যেন দার্জিলিং-এ তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা নির্দল হয়ে লড়বো এবং জিতে দেখিয়ে দেব আমাদের ক্ষমতা কত। জয়ের পর আমরা মুখ্যমন্ত্রীকেই সমর্থন দেব।"
প্রায় একই কথা শোনা গেল পাহাড়ে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রমেশ শর্মার মুখেও। তিনি বলেন, "আমরা চাই দিদি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হোন। দিদি পাহাড়ের জন্য অনেক কিছু করেছেন। যেহেতু তৃণমূল এখানে ৩টি আসন ছেড়েছে সেহেতু আমরা সেই সিদ্ধান্তের অবমাননা করিনি। আমার জিতে আবার তৃণমূলেই যাব।" তবে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে প্রত্যাহার হবে না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রমেশ শর্মা।
প্রসঙ্গত এবারে প্রার্থী ঘোষণার সময়েই পাহাড়ের ৩টি আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য ছাড়েন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেখা যায় পাহাড়ে পৃথক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেন বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং। পাহাড়ের ৩ আসনে, অর্থাৎ দার্জিলিং-এ কেশবরাজ পোখরাল, কালিম্পং-এ রুদান লেপচা এবং কার্শিয়াং-এ টিশেরিং লামাকে টিকিট দিয়েছেন বিনয় তামাং। পাশাপাশি নিজেদের জিজেএম ২ হিসেবে দাবি করতেও শুরু করেছে বিনয় গোষ্ঠী। অন্যদিকে আবার পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার পাহাড়ের ওই ৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বিমল গুরুং-ও। সেখানে দার্জিলিং-এ পিটি ওলা, কালিম্পং-এ রাম ভুজাল এবং কার্শিয়াং-এ নারবু জি লামাকে প্রার্থী করেছেন বিমল। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত দার্জিলিং তৃণমূলের যুব শাখার।