Advertisement

TMC সরকার মেয়াদ শেষ করবে, তাদের ভোটে হারাব, অমিতের হুঁশিয়ারি

তৃণমূল সরকার (TMC Government) পুরো মেয়াদ থাকুক। মানুষের সমবেদনা পাওয়ার জন্য মমতাদি ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন। রবিবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)-কে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) অমিত শাহ (Amit Shah)।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার বোলপুরে
Aajtak Bangla
  • বোলপুর,
  • 20 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:37 PM IST
  • মানুষের সমবেদনা পাওয়ার জন্য মমতাদি ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন
  • বাংলার ভূমিপূত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী
  • বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

তৃণমূল সরকার (TMC Government) পুরো মেয়াদ থাকুক। মানুষের সমবেদনা পাওয়ার জন্য মমতাদি ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন। রবিবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)-কে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানান, বাংলার ভূমিপূত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র (Nepotism) অভিযোগ তুলেছেন।

রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে বিজেপির রাজ্য এবং রাজযের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দরকার নেই। অন্যিদকে, দলের এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দরকার রয়েছে। না হলে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না। একই কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যে এসে ৩৫৬ ধারার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। এদিন অমিত শাহও সে কথাই বললেন।

বহিরাগত ইসু নিয়ে তিনি বলেন, এত সংরক্ষণশীল ভাবনা কেউ মানবেন না। ইন্দিরা গান্ধীকে মমতাদি বহিরাগত বলবেন? অমিত শাহ বলেন, সমবেদনার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন। 

তিনি বলেন, এমন কিছুই করিনি যাতে ফেডেরাল কাঠামো নষ্ট হয়। ৩ আইপিএস-কে নিয়ে কেন্দ্রের চিঠি সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই লেখা হয়েছে। টিকাকরণের পরই সিএএ নিয়ে কথা হবে।

তৃণমূলকে অমিত শাহর চ্যালেঞ্জ, জানি এরপর তৃণমূল বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবে। তাদের বলছি, তথ্য নিয়ে আসুন। আমরা জবাব দিতে প্রস্তুত।

অমিত শাহ বলেন, হিংসার জবাব গণতান্ত্রিক ভাবে দেব। সামনের ভোটে হারাব। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসে চরম সীমায়। তদন্ত হচ্ছে না। করোনা অতিমারীর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খাবার পাঠিয়েছেন। কিন্তু বস্তার পর বস্তার চুরি হয়ে গিয়েছে। মানুষ খেতে পাননি। দুর্নীতি হয়েছে। নিজের লোকেরা করেছে। ধরার হিম্মত নেই।

Advertisement

এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, পরিবারতন্ত্র হলে এমনই ঘটনা ঘটে। শুভেন্দু বিজেপি যোগ দিয়েছেন। তাঁকে মন থেকে স্বাগত জানাই। যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চান, তারা বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত। রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ। আজ মানুষের স্রোত ওঁদের চোখ খুলে দেবে।

তাঁর কটাক্ষ, তোলাবাজি, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, বোমা হামলায় এক নম্বরে রয়েছে রাজ্য। যে বাংলা ১ নম্বরে থাকত, আজ কোনওটাতে নেই। সব ২০-র নীচে।

বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে তিনি দাবি করেন, স্বাধীনতার সময় জিডিপি-র এক তৃতীয়াংশ। এখন সেই গ্রাফ নিচে নেমেছে। বাংলায় কমিউনিস্ট, তৃণমূল বিকল্প নয়। বাংলার মানুষ আমাদের সহযোগিতা করুক, এই আবেদন করব। ফের সোনার বাংলা গড়ার পথে যাব। শিল্পায়নে বাংলার যোগদান ছিল ৩০ শতাংশ। এখন ৩ শতাংশ। রোজগারি ২৭ থেকে ৪ শতাংশে নেমে গিয়েছে। ১৯৬০ মহারাষ্ট্রের থেকে দ্বিগুণ আয় ছিল রাজ্যের। এখন তার অর্ধেকও নয়।

তিনি বলেন, ১৯৬০ সালের বাংলা অন্যতম ধনী রাজ্য ছিল। এখন কোথায় নেমে গিয়েছে। ১৯৫০ সালে ফার্মার ৭০ শতাংশ এ রাজ্যে হত। আজ হয়েছে ৭ শতাংশ। জুটমিল বন্ধ। আগে খুব ভাল ছিল। ২০১৮-১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ৩২টি রাজ্যের মধ্যে ২২তম। এর জন্য দায়ী কে? আপনারা একটা জায়গা বলুন। দলের যুবরা তার জবাব দিয়ে দেবেন। রাস্তায় গর্ত, না গর্তে রাস্তা!

অমিত শাহ বলেন, ২০১১ সালে ১ শতাংশ ছিল, এখনও তাই রয়েছে। আর নীচে যাওয়ার জায়গাই নেই। শহরের উন্নয়নের জন্য যে টাকা দিয়েছি, তা খর করতে পারছে না। ১ লক্ষ ছাত্র পিছু ১৩ কলেজ।

তিনি বলেন, বার বার এই কথা তুলছি যাতে ভোটের আগে মানুষ কেন্দ্রীয় সাহায্যের কিছু টাকা পান। কৃষকেরা পাচ্ছে না রাজ্যের দোষে। অনলাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য খালি অনুমোদন দেবে। তা দিচ্ছে না। আর আপনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করছেন। ভাইপোর জন্মদিনের শুভেচ্ছাপত্র হিসেবে সই করে দিন।

তৃণমূলকে তাঁর বার্তা, সব জায়গায় কী হয়েছে, সেটাই জানাতে এসেছি। ভোটের সময় এগুলি শেষ হবে। আপনারা বিদায় নেবেন। ১০ কোটি মানুষের চিন্তা না করে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাব- এই চিন্তা থাকলে এমনই হওয়ার কথা।

তাঁর আরও অভিযোগ, প্রশাসনে রাজনীতি, রাজনীতিতে দুবৃর্ত্তায়ন আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে এই ব্যাাপরে বলা ছিল। সভাপতির ওপর হামলা, দলের কর্মীকে খুন করলেও এক ইঞ্চিও পিছনে হটব না।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement