গত লোকসভা ভোটেও বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিধানসভা ভোটে এই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রচারকদের মধ্যে এবারও নাম রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার বলরামপুরের বিজেপি প্রার্থী বানেশ্বর মাহাতোর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন যোগী। সেখানেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রীর মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন। নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে বারবার একাধিক মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গেছে তৃণমূলনেত্রীকে। করেছেন চণ্ডীপাঠও। সেই নিয়েই মন্তব্য করেছেন যোগী। "মমতাকে মন্দিরে যেতে দেখা যাচ্ছে, এটাও একটা পরিবর্তন ", বলেন আদিত্যনাথ। তাঁর কথায় ২০১৪ সালের আগে লোকে মন্দিরে যেতে ভয় পেতেন। এখন পরিবর্তন এসেছে। সবারই মন্দিরে যাওয়ার অধিকার আছে। এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর কথাও তোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসাবে মন্দিরে গিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু তিনি সেখানে নামাজ পড়ার আদলে পুজো করতে বসেছিলেন। যা শুধরে দিয়েছিলেন পূজারি। যোগীর বক্তব্যে স্পষ্ট, ভোটের কারণেই মমতা-রাহুলের মত নেতা-নেত্রীদের এই মন্দির প্রীতি।
যোগীর ভাষণে এদিন উঠে এসেছে গরু পাচারের মত বিষয়ও। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তৃণমূল। খোলা মঞ্চে অভিযোগ যোগী আদিত্যনাথের। যোগী বলেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানে গরু পাচার এবং গোহত্যা বন্ধ সেখানে বাংলায় এক তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ্যে গোহত্যার কথা বলেন। গত লোকসভা ভোটে প্রচারের সময় তাঁর হেলিকপ্টারকে নামার অনুমতি দয়েনি প্রশাসন। সেই প্রসঙ্গ তুলে যোগী বলেন এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার এখনও চলছে। এই পরিস্থিতি যতদিন না বদল হবে তিনি বাংলার মানুষের পাশে বার বার ছুটে আসবেন, দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
এরাজ্যে এসে মোদী-নাড্ডা-শাহকে বারবার বাংলার মনীষীদের স্মরণ নিতে দেখা যাচ্ছে। সেই একই পথে হেঁটেছেন যোগীও। সভার শুরুতেই স্মরণ করেছেন রবীন্দ্রনাথ- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। জাতীয় সঙ্গীত জন-গণ-মন এবং বন্দেমাতরম বাংলার মাটিতেই সৃষ্টি হয়েছে সেকথাও উঠে এসেছে যোগীর মুখে। মন্তব্য করেছেন জয় শ্রীরাম নিয়েও। মমতা রেগে গেলেও, জয় শ্রীরাম তিনি আনন্দের সঙ্গেই বলবেন, জানিয়েছেন আদিত্যনাথ। পাশাপাশি সভার ভিড় না হওয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগীর কথায় ভিড় না হওয়া নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে তৃণমূল শিবির।