নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠছে জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক। এবার পরিশ্রুত ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের (Vote Boycott) ডাক দিলেন সিউড়ি (Suri) এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঙ্গুরিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় যে কটি টিউবওয়েল আছে তার মধ্যে মাত্র একটিতে জল পড়ে। সেটিও পরিশুদ্ধ নয়। জলে ভাসে পোকামাকড়। কিন্তু অন্য টিউবওয়েলগুলি বিকল থাকায় বাধ্য হয়ে সেই জলই ছেঁকে পান করতে হয় তাঁদের। আবার কেউ কেউ পরিশুদ্ধ জলের জন্য কিছুটা হেঁটে অন্যত্র যান। তবে সেখানে গিয়েও দিতে হয় দীর্ঘ লাইন। তাছাড়া বাইরে থেকে জল নিতে যাওয়ার কমবেশি কথাও শুনতে হয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে জলের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দেবেন না বলেই জানাচ্ছেন গ্রামবাসারী।
শুধু সিউড়ি নয়, উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জলকষ্টের অভিযোগ তুলছেন মানুষ। কোথাও কোথাও ভোট বয়কটের ডাকও দিয়েছেন বাসিন্দরা। দিন কয়েক আগে হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন রোড লাগোয়া দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের মানসপুর এলাকায় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের বেশকয়েকটি পোষ্টার দেখা যায়। পোষ্টারে লেখা ছিল, ভোট বয়কট, ৬ মাস ধরে জল পরা বন্ধ! ব্যান্ডেল মানষপুর, অগ্নিবীনা স্পোর্টিং ক্লাব। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে জলের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য দ্রুত জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন দেবানন্দপু গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেশ রাজভর।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও দেখা যায় একই পরিস্থিতি। দিন কয়েক আগে শিলিগুড়ির জলপাই মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাকও দেন তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয় ব্যানার। একইসঙ্গে স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দেন, পানীয় জলের সমস্যা না মেটা পর্যন্ত ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবেন তাঁর। সেক্ষেত্রেও পুর কো-অর্ডিনেটর দীপা বিশ্বাস আশ্বাস দেন, PHE-র আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই ওই এলাকায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।