অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল ভোটকর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলে (Asansol)। মৃত ভোটকর্মীর নাম অসীমা মুখোপাধ্যায়। আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিসিআরসি কেন্দ্রে ভোটের কাজে যোগ দিতে যান তিনি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অসীমা মুখোপাধ্যায়। এরপর তাঁকে আসানসোল জেলা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আগামিকাল সোমবার সপ্তম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আসানসোলে। সেই ভোটের ডিউটিতেই যোগ দিতে যান রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা অসীমা মুখোপাধ্যায়। আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিসিআরসি কেন্দ্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট বিতরণের সময় হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। অভিযোগ ডিসিআরসি কেন্দ্রে কোনও মেডিক্যাল টিম ছিল না। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আসনসোল জেলা হাসাপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢোকায় দুর্গাপুর (Durgapur) ডিসিআরসি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন পোলিং অফিসাররা। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাঙ্ক আকউন্টে টাকা ঢোকেনি। অথচ ফর্ম ফিলাপের পর জমা দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল টাকা সময় মতো ঢুকে যাবে। কিন্তু রবিবার দুর্গাপুরের বেসরকারি আইন কলেজে ডিসিআরসি কেন্দ্রে ভোটের ডিউটির সিডিউল নিতে আসার সময়ও ব্যাঙ্কে টাকা না ঢোকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফার্স্ট পোলিং অফিসাররা। এমনকী টাকা ব্যাঙ্কে না ঢুকলে কাজ করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় নির্বাচনী আধিকারিকদের।
এই বিষয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক তথা মহকুমা রিটার্নিং অফিসার অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি বলেন, অনেক বোঝানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের, কিন্তু তাঁরা কথা শুনছেন না। টাকা না পাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে কমিশনের সিদ্ধান্ত মাফিক ভোটের ডিউটি করতেই হবে বলে পোলিং অফিসারদের। প্রবল বিক্ষোভ সামলাতে শেষ পর্যন্ত ভোটের ডিউটির পর টাকা মিটিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা।