নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা প্রকাশ করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। তারা দশটি বিষয়ে বাড়তি জোর দিয়েছে। সেগুলির আলাদা করে নামও দেওয়া হয়েছে। রইল বিস্তারিত-
অজস্র সুযোগ, সমৃদ্ধ বাংলা
দেশের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। জিডিপি-র আয়তন ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা ও বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২.৫ লক্ষ টাকারও বেশি ৩৫ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে উদ্ধার। দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষ ২০১১-র ২০% থেকে কমিয়ে ৫%-এর নীচে বার্ষিক ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান, বেকারত্বের হার অর্ধেক।
প্রতি পরিবারকে, ন্যূনতম মাসিক আয়
বাংলার প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রকল্প- ১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক আর্থিক সহয়তা - মাসিক ৫০০ টাকা করে জেনারেল ক্যাটেগরি (বার্ষিক ৬,০০০ টাকা) ও ১,০০০ টাকা করে তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারকে (বার্ষিক ১২,০০০ টাকা)।
আর্থিক সুযোগ, সবল যুব
বাংলার যুবদের স্বাবলম্বী করতে সকল যোগ্য পড়ুয়াদের জন্য নতুন প্রকল্প - স্টুড েন্ট ক্রেডিট কার্ডে₹১০ লক্ষ ক্রেডিট লিমিট ৪% সুদ।
বাংলায় সবার, নিশ্চিত আহার
খাদ্য সাথী প্রকল্পের নতুন ব্যবস্থা - এখন আর রেশন দোকানে যাওয়ার দরকার নেই। ১.৫ কোটি পরিবারের দুয়ারে মাসিক রেশন সরবরাহ বার্ষিক ৫০টি শহরের ২,৫০০ ‘মা’ ক্যান্টিনে ৫ টাকা করে ৭৫ কোটি ভর্তুকিযুক্ত আহার।
বর্ধিত উৎপাদন, সুখী কৃষক
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ₹১০,০০০ একর পিছুসহায়তা, ৬৮ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে নেট বপন ক্ষেত্র ও শস্য ব্যবস্থায় ৩ লক্ষ হেক্টর চাষযোগ্য জমি যোগ এবং ৪.৫ লক্ষ হেক্টরে দু-ফসলি চাষ ব্যবস্থায় দেশে প্রথম স্থানাধিকার প্রথম পাঁচে বাংলা, খাদ্যশস্য ও ৪টি বাণিজ্যিক শস্য যথা চা, পাট, আলু ও তামাক উৎপাদন।
শিল্পোন্নত বাংলা
বার্ষিক ১০ লক্ষ নতুন এমএসএমই। সর্বমোট সক্রিয় এমএসএমই ইউনিটের সংখ্যা ১.৫ কোটির বেশি ২,০০০ বড় শিল্প ইউনিট যোগ হবে বর্তমান ১০,০০০ শিল্প ইউনিটের সাথে, আগামী ৫ বছরে ₹৫ লক্ষ কোটি নতুন বিনিয়োগ আগামী ৫ বছরে
উন্নততর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সুস্থ বাংলা
স্বাস্থ্যে ব্যয় বরাদ্দ দ্বিগুণ, রাজ্য জিডিপি-র ০.৮৩% থেকে বেড়ে ১.৫%, ২৩টি জেলা সদরে মেডিকেল কলেজ ও সম্পূর্ণ কার্যকরী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকদের জন্য আসন সংখ্যা দ্বিগুণ।
এগিয়ে রাখতে, শিক্ষিত বাংলা
শিক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি, রাজ্য জিডিপি-র ২.৭% থেকে বেড়ে ৪%, ব্লক প্রতি অন্তত ১টি মডেল আবাসিক স্কুল শিক্ষকদের জন্য আসন সংখ্যা দ্বিগুণ।
সবাই পাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ৫ লক্ষ স্বল্প মূল্যের আবাসন। বস্তিবাসীর সংখ্যা ৭% থেকে কমিয়ে ৩.৬৫%। আরও ২৫ লক্ষ স্বল্প মূল্যের বাড়ি বাংলা আবাস যোজনার আওতায়। কাঁচা বাড়ির সংখ্যা ১%-এরও কম।
প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ, সড়ক, জল
আরও ৪৭ লক্ষ পরিবারকে নলযুক্ত পানীয় জল। ২৬% থেকে বেড়ে ১০০% পরিষেবা সুনিশ্চিত ২৪x৭ সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি গ্রামীণ আবাসের জন্য মজবুত রাস্তা, উন্নত জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং নলযুক্ত পানীয় জল।