হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অবিলম্বে তা রুখতে রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। ভোট-পরবর্তী বাংলায় একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে।
কোথাও কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনা। তো আবার কোথাও বাড়ি ভাঙচুর, পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্য়াপারে। সোমবার রাজ্যপাল একটি টুইট করেন।
সেখানে বলেন, হিংসার কথা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে পার্টি অফিস, বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি খুবই চিন্তাজনক।
তিনি আরও লিখেছেন, এ সব থামাতে স্বরাষ্ট্র দফতর, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি।
এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তার মাঝে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক গোলমাল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর আসছে বেশিরভাগ জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি আর অভিযুক্ত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা হুগলি বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।
রবিবার সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন। একই আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তবে দেখা যাচ্ছে তাদের আশঙ্কা সত্যি হল। কলকাতায় এক বিজেপি কর্মীর পাথর মেরে খুন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতের নাম অভিজিৎ সরকার। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তির তাদের দলের কর্মী। বেলেঘাটায় থাকেন।
বিজেপি দাবি করেছে, দুবরাজপুর বিধানসভার রেগনা গ্রামের পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মীর বাড়ি লুটপাট করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
অন্য একটি গোলমালের খবর এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। সেখানকার মল্লিকপাড়া বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তৃণমূলের ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।