বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) কলকাতায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে চ্যালঞ্জ করেছেন ভোটে হারানোর। তিনি ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন বলে দাবি। এই দাবি উড়িয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, এটি সম্পূর্ণ যুক্তিহীন কথা। মানুষের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন। তিনিই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের সভা করেন সেখান থেকে তিনি ঘোষণা করেন এবার তিনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা ভোটে লড়বেন। তাঁর কথা, নন্দীগ্রাম আমার মনে আছে। নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কলকাতা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি হাফ লাখ ভোটে হারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারই প্রত্যুত্তরে কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ যুক্তিহীন কথা। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছিল, তখন নন্দীগ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সাধারণ মানুষের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন এবং আগামী দিনেও তিনি থাকবেন।
অন্যদিকে কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আগামী দিনে তিনি গড়িয়া থেকে হাজরা পর্যন্ত একটি মিছিল করবেন। তবে পুলিশি অনুমতি না নিয়েই। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছে, বিজেপিতে জয়েন করে শুভেন্দু অধিকারী গুন্ডাতে পরিণত হয়েছেন। তিনি দেশের নাগরিক। আইনশৃঙ্খলা না মানেন তাহলে কিসের দেশের নাগরিক? এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিন দক্ষিণ কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল গোলমাল নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, একটি বিক্ষুব্ধ ঘটনা ঘটেছে। তবে সে প্রসঙ্গে তিনি সঠিক ভাবে কিছু জানেন না। তবে কিছু মানুষ উত্তেজনা চেষ্টা করেছে বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নেতা হিসেবে নন্দীগ্রামে গড়ে তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই কালিদাসের মত যে ডালে বসেছেন, সেটাই নিজের হাতে কেটেছে।
এদিকে, নন্দীগ্রামের গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধঁছে বিজেপি। এদিন এ ব্যাপারে তারা টুইটে জানিয়েছে, নন্দীগ্রামের নির্বিচারে গুলি চালানোর অপরাধীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন পিসি। এত বছর পরেও কারা কারা শাস্তি পেল জানতে চায় নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবার। জানতে চায় সমগ্র বাংলা। কোনও জবাব তো দিলেন না পিসি।