বৃহস্পতিবার রাজ্য দ্বিতীয় দফার নির্বাচন (Second Phase Polling )। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ৩০টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। যেখানে সম্মুখ সমরে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও একদা তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রাম সহ বাকি সব কেন্দ্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে তৎপর নির্বাচন কমিশনও। ভোটে যেকোনও রকমের অশান্তি রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে কড়া নিরাপত্ত ব্যবস্থা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নিরাপত্তার সার্বিক চিত্রটা।
পূর্ব মেদিনীপুর
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে ৯টি কেন্দ্রে হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম সহ সমস্ত জেলার আসনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সমস্ত পোলিং স্টেশনে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ১৯৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেক আসনের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বুথে থাকছে ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা। থাকছেন মাইক্রো অবজারভারও। পাশাপাশি চলছে নাকাচেকিং। কোনও রকম অভিযোগ পেলেই পাঠানো হচ্ছে ক্যুইক রেসপন্স টিম।
পশ্চিম মেদিনীপুর
এই দফায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও ৯টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ২০১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৬ হাজার রাজ্য পুলিশ। প্রতিটি বুথে মোতায়েন থাকছেন চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং একজন লাঠিধারী পুলিশ৷ প্রতি বিধানসভা পিছু রাখা হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি ক্যুইক রেসপন্স টিম৷ এই দফায় জেলায় সব চেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ কেশপুরে৷ সংখ্যাটা ১৭৬, যা মোট বুথের প্রায় ৪৯ শতাংশ ৷
বাঁকুড়া
দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন রয়েছে বাঁকুড়াতেও। এই জেলার ৮টি আসনে হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ১৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকছেন ৫,৫২২ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। পাশাপাশি থাকছেন ৪৩৭ জন মাইক্রো অবজারভার। এছাড়াও থাকছে ১,৪০০টি ওয়েব কাস্টিং এবং ২৭০টি ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
এই দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ৪টি জেলায় হবে ভোটগ্রহণ। ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাছাড়াও অশান্তি এড়াতে থাকছে অন্যান্য ব্যবস্থা। এই দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাকদ্বীপ। কারণ ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। প্রসঙ্গত এই দফায় ৪ জেলার ৩০ আসনে ভাগ্য নির্ধারণ হবে মোট ১৭১ জন প্রার্থীর।