নোংরা বিষাক্ত জল খেয়ে অসুস্থ আলিপুর মহিলা জেলে বন্দি বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। সেইসঙ্গে অসুস্থ আরও ৪ জন মহিলা বন্দী। তাদের মধ্যে দুই জনকে ভর্তি করা হয়েছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন জেল হাসপাতালে। সূত্রের খবর, কোনভাবে ড্রেনের জল খাবারের জলের পাইপের মাধ্যমে মিশে যায় রিজার্ভারে। তারপরপই সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে জেলের একাধিক বন্দী। সেই জল খায় কোকেনকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পামেলা গোস্বামীও। তিনিও অসুস্থ হয়ে জেলে ভর্তি হন। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে পামেলা গোস্বামীকেও।
অসুস্থ পামেলা গোস্বামী
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পামেলা গোস্বামী দাবি করেছিলেন জেলের মধ্যে তার প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জেলের মধ্যে তাদের 'হাই লাইফ রিস্ক' রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল মাদক কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী এবং তার অপর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে। একই মামলাতে গ্রেফতার হওয়া অপর বিজেপি নেতা রাকেশ সিং জেলের মধ্যেই খুনের চক্রান্ত করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন পামেলা এবং প্রবীর দুজনেই। ইতিমধ্যে জেলের মধ্যে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ অভিযুক্তরা। আলিপুর আদালতে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা আবেদন জানান, জেলের ভেতরে তাঁদের মক্কেলদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হোক, অথবা কোন জেলে স্থানান্তর করা হোক।
প্রাণনাশের আশঙ্কা পামেলা
এর আগে মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গী প্রবীর কুমার দে এবং তাঁর দেহরক্ষী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর জেলা এনডিপিএস আদালতে তোলা হলে, তিনজনকেই ১৮ই মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপরই আদালত থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দুই অভিযুক্ত। বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী বলেন, "রাকেশ সিং জেলের মধ্যে প্রবীরকে খুন করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছেন।" এই হুমকির প্রমাণ ইতিমধ্যেই লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধানকে তিনি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন পামেলা। এরপর আদালতের লক-আপ থেকে বেরোনোর সময় প্রবীরও অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতা রাকেশ সিং জেলের মধ্যেই তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছেন। যে কোনো সময় তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রবীর কুমার দে।