সকাল সকাল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু এসে দেখেন আজব কাণ্ড। ভোটার তালিকায় তাঁদের নামের পাশে লেখা রয়েছে মৃত। যা দেখে রীতিমতো অবাক ওই ভোটাররা। তাঁদের প্রশ্ন, 'সশরীরে ভোট দিতে এসেছি। তারপরও কীভাবে মৃত হয়ে গেলাম?' যদিও এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুর্শিদাবাদ ও মালদার একাধিক ভোটারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।
মালদার মানিকচক বিধানসভার ১১২ নম্বর বুথের মানিকচক শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। আজ সকালে সেখানে ভোট দিতে যান সত্যবালা মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ভোটের কার্ড ছিল। কিন্তু, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়েই বিপত্তি। তাঁর নামের তালিকা খুঁজতে গিয়ে বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা দেখেন, সত্যবালা মণ্ডলের নাম ভোটার তালিকায় আছে ঠিকই। তবে তাঁকে মৃত বলে দেখাচ্ছে।
দেখেশুনে আধিকারিকরা সত্যবালা মণ্ডলকে জানান, তিনি ভোট দিতে পারবেন না। ওই মহিলা আধিকারিকদের জানান, মাস চারেক আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। ভুলবশত বাবার জায়গায় তাঁর নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়ে দেন, ওই মহিলা ভোট দিতে পারবেন না। প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন সত্যবালাদেবী।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ! বাংলায় প্রতি ৩ জনে ১ Corona পজিটিভ, ঘণ্টায় ৩টি মৃত্যু
একই ছবি দেখা যায় বেলডাঙা বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে। সেখানেও বাসিন্দাদের একাংশ দেখেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওযা হয়েছে অথবা মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ভোট দিতে পারলেন না সরস্বতী মণ্ডল, সরকার অহল্যা, সরকার শিবানী, সতিরানি গান্ধি -সহ আরও কয়েকজন। কেন এমন হল তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
এই নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সৌমেন মণ্ডল বলেন, এর আগে ২০১৯ ও ২০২০ ভোটার লিস্টেও সকলের নাম ছিল। কিনতু ২০২১ এর লিস্টে নাম নেই কয়েকজনের। তিনি এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে। বিজেপির তরফে ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে।