কোচবিহারের সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নাম না করে বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করেন তিনি। মমতা বলেন, সাংসদ ছিলেন, এখন বিধানসভায় হেরে যাবেন। তার পরেই কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েতে দাঁড়াবে। সেইসঙ্গে নারায়নী সেনা ইস্যুতেও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা।
বিজেপিকে নিশানা মমতার
মমতা বলেন, বিজেপি এনপিআর, সিএএ এর নাম করে অসমে ১৪ লাখ বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। আসলে বিজেপি কোনও কাজ করে না। প্রধানমন্ত্রী এসে বলেছে নারায়নী ব্যাটেলিয়ান আমরা করে দেবো, আজ পর্যন্ত কি করেছে? করেনি ওরা। কালকেও কোচবিহারের এসে বলেছে ভোটের পরে করবে। ওরা করবে কী করে, সব তো মিথ্যা কথা। আরটিআই এসেছে, নারায়নী সেনা ব্যাটালিয়ান করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কোনও প্রস্তাব আছে কিনা। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে এমন কোনও প্রস্তাব নেই। রাজবংশীদের ধোকা দিয়েছে। মিথ্যা কথা বলেছে। আমি কিন্তু নারায়নী ব্যাটেলিয়ান করে দিয়েছি। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে নারায়নী ব্যাটেলিয়ান করে দিয়েছি। তাদের হেড কোয়ার্টার কোচবিহারে। সেখানে ৩ হাজার পুলিশের চাকরি হবে। এর এতো মিথ্যা কথা বলে। ছিটমহল কে করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন, একুশের মহারণে মুসলিম ভোটই নিশানা! আসরে মমতা-ওয়াইসি
একাধিক ইস্যুতে তোপ
মমতা বলেন, আপনাদের এখানে যে দাঁড়িয়েছে বিনয় বর্মনের বিরুদ্ধে আমি শুনেছি ২০১৬ সালে তিনি জেলে ছিলেন। একটা খুনের কেসে জেলে ছিলেন। উনি হয়ে গিয়েছেন একজন ধনী। আরেকজন সাংসদ ছিলেন, সেখান থেকে বিধানসভায় দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে হেরে কাউন্সিলর ভোটে দাঁড়াবে,তারপরে পঞ্চায়েতে দাঁড়াবে। এরা কি প্ল্যান করেছে জেনে রাখুন। ৯০টি সিটে ৩ দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তাতে আমরা কিন্তু জিতছি। বিজেপি আমাদের ধারেকাছেও আসতে পারেনি। কালকে আরামবাগে এতো অত্যাচার করেছে আমার তফশিলি মেয়ে সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। তার নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ অফিসারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার গোঘাটের প্রার্থী মানসকেও মেরেছে। বুথ প্রেসিডেন্টকে খুন করেছে। খানাকুলের প্রার্থী নাজবুলকেও পিটিয়েছে ওরা। আর মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। নির্বাচনের আগে ওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখায়। নিজের এলাকা পাহারা দিয়ে রাখবেন।