সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে লড়বেন। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে এমনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৩। এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ বিবেক গুপ্তা এবং লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। তাই তৃণমূল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং আসনের দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া। তিনি মন্ত্রীও ছিলেন।
পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁকে পাঠানো হয় রাজ্যসভায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মনে করা হচ্ছে ওই আসনটিতে তৃণমূল শক্তি ক্ষয় হয়েছে। সেখানকার বিধায়ক মানসবাবুর স্ত্রী গীতাদেবী।
তিনি ভোটে জিততে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সন্দিহান ঘাসফুল শিবির। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। গীতাদেবীর জায়গায় আনা হয়ে সবংয়ের 'মানসপুত্র'কে
কলকাতার জোড়াসাঁকো থেকে এবার তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়বেন বিবেক গুপ্তা। ২০১২ সালে তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সংসদ করে। পরে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে মনোনয়ন দেয়নি তৃণমূল।
তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে। মনে করা হচ্ছে অবাঙালি বা হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের মন জয় করতে বিবেক গুপ্তাকে দাঁড় করানো হয়েছে। জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে অনেক অবাঙালি রয়েছেন।
হুগলির থেকে দাঁড় করানো হয়েছে রত্না দে নাগকে। এর আগে থেকে দুবার সংসদ ছিলেন তিনি। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে। তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তাকে হুগলির পান্ডুয়ায় আসন থেকে লড়তে বলা হয়েছে।
সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদরা বিধানসভা ভোট লড়ছেন এমন নজির খুব বেশি নেই। এদিকে, আরও দুই সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদকে বিধানসভা ভোটে লড়তে দেখা যেতে পারে।
তবে তাঁরা শাসকদলের কেউ নন। তারা বিরোধী পক্ষের। সুনীল মণ্ডলকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছেন বর্ধমানের গলসির বিজেপি কর্মীরা। তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে প্রার্থী চেয়ে ওই এলাকায় পোস্টারও পড়েছে। অন্যদিকে, সিপিআইএম প্রার্থী করতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম।