বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফায় রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি (Sitalkuchi)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের মাঝেই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় তৃণমূল (TMC)। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেতে দেখা গেল যে কেন্দ্রকে ঘিরে এত ঘটনা সেই শীতলকুচিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কোচবিহারের এই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী বরেনচন্দ্র বর্মন।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। ওই বিধানসভার একটি বুথে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ জনের। যদিও পরে বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভুল বুঝে একদল মানুষ জওয়ানদের ওপর হামলা চালায়। বুথে ঢুকে ইভিএমে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। এমনকী জওয়ানদের রাইফেল পর্যন্ত কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। সেই সময় আত্মরক্ষার্থেই বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে সেই ঘটনার পরেই ময়দানে নামে তৃণমূল। পরের দিনই শীতলকুচি যাবেন বলে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কমিশনের নির্দেশে তখনকার মতো শীতলকুচি যাওয়া স্থগিত করতে হয় তাঁকে। তবে ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। পরে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উঠলে শীতলকুচিতে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
অন্যদিকে এই ঘটনায় একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়। সেই টেপে শোনা যায় শীতলকুচি কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী তথা কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে মৃতদের দেহ নিয়ে মিছিল করার কথা বলছেন মমতা। যদিও সেই টেপের সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা। সেই টেপকে কেন্দ্র করেও পালটা আসরে নামে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগও তোলে গেরুয়া শিবির। তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় ওই কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী।