নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বহু হেভিওয়েট নেতানেত্রী। অনেকে দলবদলে বিজেপিতে প্রার্থীও হয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে দেখা যাচ্ছে দল বদলানো সেই সব নেতানেত্রীদের বেশিরভাগই সাফল্য পেলেন না নির্বাচনে। তারমধ্যে যেমন হেভিওয়েটরা রয়েছেন তেমনই রয়েছেন তারকারও।
নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের গড় নন্দীগ্রাম থেকেই নির্বাচনী লড়াইতে নামেন তিনি। নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু-মমতার দ্বৈরথ কার্যত গোটাদেশের নজর টেনেছিল নন্দীগ্রামের দিকে। মমতাকে নন্দীগ্রাম থেকে হাফ লক্ষ ভোটে পরাজয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন শুভেন্দু। গণনার দিন প্রথম থেকে এগিয়েও ছিলেন তিনি। মাঝে এগিয়ে যান মমতা। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় পান শুভেন্দুই।
ভোটের কিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। বিজেপিতে যোগ দিয়েও তিনি লড়াই করেন নিজের কেন্দ্র ডোমজুড় থেকেই। কিন্তু দল বদলে সেই কেন্দ্র থেকে সফলতা পেলেন না রাজীব। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণেন্দু ঘোষের কাছে পরাজিত হন তিনি। পাশাপাশি হাওড়ারই বালি আসনে লড়াই করেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেওয়া বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। কিন্তু এবারে বালিতে শেষ হাসি হাসতে পারেননি বৈশালী। পরাজিত হল তৃণমূলের রানা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শিবপুরে তৃণমূল প্রার্থী ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারির কাছে পরাজিত হন হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী।
অন্যদিকে হুগলির উত্তরপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের কাছে হারলেন প্রবীর ঘোষাল। তিনিও নির্বাচনের আগেই যোগ দেন বিজেপিতে। ওই জেলারই সিঙ্গুর আসনে পরাজিত হন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। ওই কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন রুদ্রনীল।