সাড়ে ৩ বছর পরে অবশেষে ভোট দিলেন বিমল গুরুং। এদিন সস্ত্রীক দার্জিলিংয়ে তিনি ভোট দেন তিনি। ভোট দেওয়ার পরেই পুরনো সঙ্গী বিজেপিকে নিশানা করেন গুরুং। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে পাহাড়ে অশান্তির সময়ে বিমল গুরুংয়ের নামে একাধিক ধারায় মামলা হয়। তারপরেই পাহাড় ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে চলে যান তিনি। ফলে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারেননি। তবে ওই নির্বাচনে গুরুংয়ের সমর্থন ছিল বিজেপির দিকে। তবে এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। গুরুং পাহাড়ে ফিরে ফের রাজনীতিতে সক্রিয়। বিজেপি নয় তৃণমূলকে সমর্থন করছেন তিনি। তবে ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারেননি রোশন গিরি।
ভোট দিলেন গুরুং
বিগত বছর গুলির তুলনায় এবারে পাহাড়ের পরিস্থিতি একদম আলাদা। গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার দুই শিবির আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত। দুই শিবিরই তিন কেন্দ্রে আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অপরদিকে মোর্চার এই ফাটলের সুযোগে শক্তি বাড়িয়েছে জিএনএলএফ। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সভা করে গেছেন অমিত শাহ নিজেই। অন্যদিকে, তৃণমূলের অবস্থান ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। যুব তৃণমূল সমর্থন দিয়েছে মোর্চার বিনয় তামাং শিবিরকে এবং মূল তৃণমূলের সমর্থন বিমল গুরুংয়ের দিকে। সাড়ে ৩ বছরের বেশি অজ্ঞাতবাসে থাকার পরে ২০২০ সালে অক্টোবর মাসে আচমকা আর্বিভাব হয় বিমল গুরুংয়ের। পাহাড়ের রাজনীতিতে গুরুংয়ের এই প্রত্যাবর্তন কোনওমতেই মেনে নিতে পারেন জিটিএ প্রধান তথা মোর্চার অপর শিবির বিনয় তামাং, অনিত থাপারা। এবারের নির্বাচনে তারা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, 'খেলা শেষ, আমরা চাই বিজেপি সরকার,' জানালেন GNLF প্রধান মান ঘিসিং
পাহাড়ের রাজনীতি
অপরদিকে পাহাড়ে পা রেখে নিজের গড় ধরে রাখতে মরিয়া বিমল গুরুং। একসময়ে বিজেপির সঙ্গে থাকা গুরুং এবারের নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছেন তৃণমূলকে। তামাং শিবিরকে টেক্কা দিতে এবারও তারা আলাদা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ৩ আসনেই প্রার্থী দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, শেষ কয়েকমাসে মোর্চার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাহাড়ে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে জিএনএলএফ। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মিটিং -মিছিল করছেন এতোদিন তারা। এবার তারা সমর্থন দিচ্ছেন বিজেপির প্রার্থীদের। ৩ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যদিও প্রার্থী দেওয়া নিয়ে প্রথমে জিএনএলএফের সঙ্গে মতানৈক্য হয়েছিল বিজেপির। তবে পরে সেই সমস্যা মিটে যায়। অমিত শাহ নিজে এসে সভা করেন পাহাড়ে।