রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)-র দল ছাড়াকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)র কথাতেই তার প্রমাণ মিলল। তিনি দাবি করেন, আমরা গ্যাপ ভরাট করে নেব। শুভেন্দু চলে যাওয়া কোনও প্রভাব পড়বে না।
শনিবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দল ছাড়াকে তৃণমূল গুরুত্ব না দিতে চাইলেও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শুভেন্দু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নেতা, দক্ষ সংগঠক। ফলে তিনি থাকা, না-থাকায় দলের মধ্যে প্রভাব পড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, তিনি একা বিজেপিতে যোগ দেননি। সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক, রাজনৈতিক নেতা নিজেদের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ 'ফ্যাক্টর'।
এদিন সাংসদ সৌগত রায়ের সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)-র চলে যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে শুভেন্দুকে জানাতে হবে যে কি জন্য বিজেপিতে গেলেন। নন্দীগ্রামে ৪০% মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। সংখ্যালঘুরা ভোট দেবে না। জিততে কষ্ট হবে। আমরা গ্যাপ ভরাট করে নেব। শুভেন্দুর চলে যাওয়া কোনও প্রভাব পড়বে না।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)-র মানভঞ্জনের জন্য সাংসদ সৌগত রায়ের পৌরহিত্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকে হয়। পরে সাংসদ সৌগত রায় জোডর গলায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেই থাকছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিটে গিয়েছে মান-অভিমানের পালা। কিন্তু পরদিন দুপুরেই শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কিছুই মেটেনি। বরং জটিলতা আরও জটিল হয়েছে।
তেমন বার্তাই ছিল সৌগত রায়কে পাঠানো শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)-র হোয়াটসঅ্যাপে। বৈঠকের পর তৃণমূল শিবিরের যে দাবি ছিল, শুভেন্দুর পাঠান মেসেজ তা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেয়। শুভেন্দুর অধিকারীর পাঠান হোয়াটসঅ্যাপের পাল্টা জবাব তাই এবার দিলেন সৌগত রায়। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের বিধায়ককে দলের অবস্থান সে সময় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। এদিন সেই বৃত্ত পূর্ণ হল।