মালদায় সভা করবেন উত্তরপ্রদেশের (UP) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মালদার (Malda) গাজোলে সভা করার কথা রয়েছে যোগীর। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদা জেলায় হিন্দু ভোট একত্রিত করার ক্ষেত্রে যোগীর সভা বিশেষ কার্যকরী হয়ে উঠবে। কঠোর প্রশাসক হিসেবে যোগীর যে ভাবমূর্তি রয়েছে তার সুফলও তারা পাবেন বলে আশা বিজেপির (BJP)।
মালদা জেলায় ভোটারের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের। যা বরাবরই নির্বাচনে প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। গত লোকসভা ভোটের সময়েও মালদায় যোগীর সমাবেশ করার পরিকল্পনা করে বিজেপি। কিন্তু সেই সময় প্রশাসনের তরফে অনুমতি পাওয়া যায়নি। যদিও নির্বাচনে উত্তর মালদা কেন্দ্রে জয় লাভ করে বিজেপি। এছাড়া গত বিধানসভা নির্বাচনেও বৈষ্ণবনগর কেন্দ্র থেকে জয় পান পদ্মফিলের প্রার্থী।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই জেলায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় জাল নোট ও অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ, জেলায় রয়েছে অনুপ্রবেশ ও উদ্বাস্ত সমস্যা। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু মনে করেন যোগী আদিত্যনাথের যে হিন্দুত্ববাদী ও কঠোর প্রশাসকের ভাবমূর্তি তা বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা নেবে মুসলিম অধ্যুষিত মালদা জেলায়। এর ফলে হিন্দু ভোট একত্রিত হয়ে নির্বাচনে দল সুবিধা পাবেই বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এখন দেখার বাস্তবেই যোগীর বার্তায় কতটা প্রভাবিত হন মালদাবাসী।
এদিকে শুধু যোগীই নয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় রীতিমতো আনাগোনা বেড়েছে বিজেপির কেন্দ্রী নেতৃত্বের। লাগাতার বঙ্গ সফর করে চলেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা। এমনকি পিছিয়ে নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিগত কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে একাধিক সভা করেছেন মোদী। হলদিয়া ও হুগলির সভা থেকে বাংলার সরকার তথা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। আর এবার আগামী ৭ তারিখ কলকাতার ব্রিগেডে সভা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সোমবার বিজেপির তরফে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ঘুরেও দেখা হয়।