Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: বাম আমলে চিরকুটে চাকরি মীনাক্ষীর? ভাইরাল ভুয়ো প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আনন্দবাজর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে কোনও পরীক্ষা না দিয়ে বাম জামানায় চিরকুটে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

সুরাজউদ্দিন মণ্ডল
  • কলকাতা,
  • 19 Oct 2024,
  • अपडेटेड 4:44 PM IST

পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই(এম) তথা বামেদের অন্যতম প্রধান যুব মুখ হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আর সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে আনন্দবাজর পত্রিকার প্রতিবেদনের একটি স্ক্রিনশট। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনও পরীক্ষা না দিয়ে বাম জামানায় চিরকুটে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

উদাহরণস্বরূপ, এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর তরফে শেয়ার করা আনন্দবাজর পত্রিকার ভাইরাল সেই প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়েছে, “বামফ্রন্টের নেত্রী মীনাক্ষী বিনা পরীক্ষায় চিরকুটে চাকরি। অথচ যোগ্য শিক্ষকদের কি করে চোর বলতে পারে।” পাশাপাশি স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “বাম আমলে চাকরি দুর্নীতির জীবন্ত উদাহরণ।” (সব বানান অপরিবর্তিত।)

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল স্ক্রিনশটটি ভুয়ো ও সম্পাদিত। আনন্দবাজর পত্রিকার তরফে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এহেন কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।

কীভাবে জানা গেল সত্য?

প্রথমত, ভাইরাল প্রতিবেদনটি সন্দেহজনক। কারণ সেটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, প্রতিবেদনটির শিরোনামে একাধিক দাড়ি ব্যবাহর করা হয়েছে। যা সাধারণত কোনও প্রতিবেদনেই ব্যবহার করা হয় না। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটিতে ভিন্ন ভিন্ন ফন্টের পাশাপাশি শিরোনামের ব্যাকগ্রাউন্ডে হলুদ রং ব্যবহার করা হয়েছে। যা থেকে অনুমান করা যায় যে, আনন্দবাজরের ভাইরাল স্ক্রিনশটটি ভুয়ো হলেও হতে পারে। 

তাই এরপর এবিষয়ে নিশ্চিত হতে আমরা ভাইরাল প্রতিবেদনের ফন্টের সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ফন্টের তুলনা করে দেখি। তখন আমরা লক্ষ্য করি, ভাইরাল স্ক্রিনশটের ফন্টের সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার আসল ফন্টের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনের শিরোনামে কোনও দাড়ি বা তার ব্যাকগ্রাউন্ডে হলুদ রং-ও ব্যবহার করতে আমরা দেখিনি। নিচে উভয় প্রতিবেদনের তুলনা দেখা যাবে।

Advertisement

এরপর ভাইরাল স্ক্রিনশটটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে এই সংক্রান্ত কিওয়ার্ড সার্চ করলে ২০২৪ সালের ১ মে আনন্দবাজার পত্রিকার ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। “আনন্দবাজার অনলাইনের মাস্টহেড ব্যবহার করে ফের ভুয়ো খবর সমাজমাধ্যমে, এ বার লক্ষ্য সেলিম, মিনাক্ষী” শিরোনামের সেই প্রতিবেদনে ভাইরাল স্ক্রিনশটকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে। 

পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে, “মিনাক্ষী দলের সর্ব ক্ষণের কর্মী হওয়ার আগে কুলটি কলেজে ভূগোলের পরীক্ষাগারে সহকারীর কাজ করতেন। তবে সেই চাকরি ছিল অস্থায়ী। বছর ছয় হল সেই চাকরি নিজেই ছেড়ে দিয়েছেন সিপিএমের যুবনেত্রী।” পাশাপাশি সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, "আনন্দবাজার অনলাইনের খবর যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের বাংলা শিরোনামটি গুগলে গিয়ে ‘সার্চ’ করুন। তা হলেই জানা যাবে আনন্দবাজার অনলাইন ওই খবর প্রকাশ করেছে কি না। সাধারণত এই ধরনের ভুয়ো খবরে মাস্টহেড-সহ শিরোনামের স্ক্রিনশট ছাড়া আর কিছু থাকে না।"

এর থেকে প্রমাণ হয় যে, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বাম জামানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন দাবিতে ভাইরাল আনন্দবাজার পত্রিকার স্ক্রিনশটটি ভুয়ো।

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

আনন্দবাজর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে কোনও পরীক্ষা না দিয়ে বাম জামানায় চিরকুটে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

ফলাফল

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বাম জামানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন দাবিতে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা। ভাইরাল স্ক্রিনশটটি ভুয়ো ও সম্পাদিত।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement