Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশে বন্যার কারণ হিসেবে দায়ী করে ছড়ানো হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশের বাঁধের ভিডিও

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই বাঁধের ভিডিওটি বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী কোনও জায়গার নয় বরং অন্ধ্র প্রদেশের একটি বাঁধের দৃশ্য। এর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যার কোনও সম্পর্কই নেই। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 28 Aug 2024,
  • अपडेटेड 2:59 PM IST

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় হওয়া ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে ওপাড় বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটা অংশ ভারতকে দায়ী করছেন। বাঁধ থেকে জল ছাড়ার নানা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে। সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওগুলিতে নাকি দেখা যাচ্ছে যে ভারত কীভাবে বাংলাদেশের দিকে জল ঠেলে দিচ্ছে যাতে বাংলাদেশ বিপাকে পড়ে। 

ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও বাঁধ থেকে বিপুল গতিতে জল ছাড়ার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি ২১ অগস্টের বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ভারতের পানি বাংলাদেশে ঢুকছি। 21/08/2024।"

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই বাঁধের ভিডিওটি বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী কোনও জায়গার নয় বরং অন্ধ্র প্রদেশের একটি বাঁধের দৃশ্য। এর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যার কোনও সম্পর্কই নেই। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে কিফ্রেম সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করতেই আমরা দেখতে পাই একই জায়গা থেকে রেকর্ড করা ওই বাঁধের হুবহু অন্য ভিডিও একাধিক ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল। 

অগস্ট মাসের প্রথমদিকে এই ভিডিওগুলি ইউটিউবে আপলোড করে লেখা হয়, এটি শ্রীসাইলাম নামের কোনও বাঁধের ভিডিও। কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জানা যায়, শ্রীসাইলাম বাঁধটি অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়াল জেলায় কৃষ্ণা নদীর উপর অবস্থিত। তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। 

বিষয়টিকে সূত্র ধরে আমরা গুগল ম্যাপে শ্রীসাইলাম বাঁধের ছবি খুঁজি। গুগল ম্যাপের ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটের তুলনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভিডিওতে থাকা বাঁধটি অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীসাইলাম জলাধারের দৃশ্য।

Advertisement

আরও অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু রিপোর্ট পাই যাতে জানতে পারি, এই বছরের ৩০ জুলাই শ্রীসাইলাম বাঁধের ১২টি গেটের মধ্যে ১০টি গেট খোলা হয়েছিল। সেই সময় এই দৃশ্য দেখতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাট সড়কের দুই পাশে ২৫ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়। প্রায় ৩.৫৯ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় বলে খবর।

পরবর্তী খবরের আপডেট অনুযায়ী, শ্রীসাইলাম বাঁধের গেট 12 আগস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং বাঁধে জলপ্রবাহ কমে গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক গত ২২ অগস্ট একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট করেছে যে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে বাংলাদেশে বন্যার সূত্রপাত হয়নি। পরিবর্তে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে প্রাথমিকভাবে বন্যা হয়েছে।

সুতরাং, এর থেকে স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের বন্যার জন্য দায়ী করে যে ভিডিওটি শেয়ার করা হচ্ছে তা আসলে অন্ধ্র প্রদেশের এবং বাংলাদেশে বন্যার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। 

 

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতের বাঁধ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে যে কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে।

ফলাফল

এই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনও পার্শ্ববর্তী এলাকার নয় বরং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীসাইলাম বাঁধের ভিডিও। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement