ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে একটি ভিডিয়ো যেখানে দরজা ভেঙে বেশ, আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে কয়েকজন সেনাকে একটি বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের অতর্কিতে ঢুকতে দেখে পালিয়ে যায় বেশ কয়েকজন। কিন্তু একজন ধরা পড়ে যায় এবং সে হাত তুলে আত্মসমর্পন করে।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইজরায়েলি সৈন্য আটক ✊ হামাস জিন্দাবাদ"।
কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে তদন্ত করে দেখেছে যে ভিডিয়োটির সঙ্গে সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনও যোগই নেই। ভিডিয়োটি ২০১৬ সালে তুরস্কে হওয়া ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
ভাইরাল ভিডিয়োর একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল তরস্কের সংবাদসংস্থা Anadolu Ajansı-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমাদের নজরে পড়ে। সেখানে একই ভিডিয়ো আমরা দেখতে পাই। সেখান থেকে জানা যায় যে, ভিডিয়োটি তুরস্কের আটাতুর্ক বিমানবন্দর হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করেছিল পুলিশ। যাকে আত্মসমর্পন করতে দেখা যাচ্ছে তিনি হলেন, প্রাক্তন স্পেশ্যালস্ট সার্জেন্ট আয়কুত দেমির।
প্রায় একই সময়ে, একই ভিডিয়ো-সহ খবরটি প্রকাশিত করেছিল তুরস্কের আরও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম যেমন- Star.Com, Telegrafi ও Sonhaberler। সেখান থেকে আরও জানা যায় যে, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল সেনার একাংশ। ভিডিয়োটি আটাতুর্ক বিমানবন্দর তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া একটি অভিযানের ছিল।
২০১৬-র তুরস্কে ব্যর্থ অভ্য়ুত্থান কী?
২০১৬ সালে তুরস্ক সেনার একাংশ তৎকালীন সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষেছিল। সেই মতো ওই বছরের ১৫ জুলাই হঠাৎ করেই সেনার একাংশ রাস্তায় নামে। তুরস্কের সংসদেও হামলা চালানো হয়। যদিও সাধারাণ মানুষ, সরকারের পাশে থাকা সেনা ও পুলিশের প্রতিরোধে সেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।
সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের।
হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইজরায়েলি সৈন্য আটক
ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে বর্তমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োটি আসলে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের।