Jokes In Bengali: হাসি মানসিক চাপ কমায় এবং আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই কারণেই আমাদের খুশি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা এমন মুহূর্ত খুব কমই পাই যেখানে আমরা মন খুলে হাসতে পারি। আপনাকে হাসাতে আমরা নিয়ে এসেছি মজার জোকস, যা পড়ার পরে আপনি আপনার হাসি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
> স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। কিছুতেই সমঝোতা হচ্ছে না—
স্ত্রী: আমি বাপের বাড়ি চললাম, তুমি থাক তোমার সংসার নিয়ে।
স্বামী: আমিও বের হচ্ছি!
স্ত্রী: তুমিও কি বাপের বাড়ি যাচ্ছো!
স্বামী: না, আমি গরিব-দুঃখীদের দান-খয়রাত করতে যাচ্ছি!
স্ত্রী: কেন?
স্বামী: মানত করেছিলাম। ফলাফল পেতে শুরু করেছি। কথা তো রাখতেই হয়।
> এক ভদ্রলোক ও চিকিৎসকের মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে—
ভদ্রলোক: ডাক্তার, আমার ওজন কমানোর জন্য একটু পরামর্শ চাইছি।
চিকিৎসক: কেন, সমস্যা কী আপনার?
ভদ্রলোক: আমি একটা সুন্দর উপহার পেয়েছি। কিন্তু মোটা হওয়ার কারণে সেটা ব্যবহার করতে পারছি না।
চিকিৎসক: ঠিক আছে, কাল একবার আসুন। প্রেসক্রিপশন দিয়ে দেব। তারপর ঠিকই আপনি আপনার পোশাকটি পরতে পারবেন।
ভদ্রলোক: আমি তো পোশাক নয়, একটা গাড়ি উপহার পেয়েছি।
> একটি লোক খুব অলস। কাজ কিছু করতে চায় না। লোকের থেকে চেয়েচিন্তে পেট চালায়।
সে গেল এবার একটি লোকের কাছে টাকা চাইতে—
অলস ব্যক্তি: স্যার, তিনদিন খাই না। একটা টাকা দেবেন?
ভদ্রলোক: তিনদিন খাওনি, এক টাকায় কী হবে?
অলস ব্যক্তি: দেখব, কতটা ওজন কমেছে।
> অফিসে যাওয়ার সময় মহাবিরক্ত স্বামী।
তাড়াহুড়া করে টাই বাঁধতে বাঁধতে স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বললেন—
স্বামী: না জানি আজ কার মুখ দেখে ঘুম ভাঙছে! সাড়ে ১০টা বাজতে চললো, এখনো ব্রেকফাস্ট কপালে জুটল না!
স্ত্রী: আমাদের খাটের পায়ের দিকের দেওয়াল থেকে বড় আয়নাটা সরাও।
তা না হলে রোজ এই একই অভিযোগ করতে হবে তোমাকে!
> ডাক্তারের চেম্বারে এক রোগী এসেছেন। সমস্যার কথা বললেন ডাক্তারকে।
এবার ডাক্তার রোগীকে বলছেন—
ডাক্তার: আপনি যদি আমার ওষুধ খান সুস্থ হলে আমায় কী পুরস্কার দেবেন?
রোগী: স্যার, আমি খুব গরীব মানুষ।
ডাক্তার: সমস্যা নেই, আপনার যা সামর্থ্য তাই দেবেন।
রোগী: স্যার,আমি কবর খুঁড়ি, আপনারটা বিনা পয়সায় খুঁড়ে দেবো।
> মাইকেল কথায় কথায় রেগে যায়। হাসপাতালে তার রাগের চিকিৎসা চলছে।
একদিন মাইকেলের সঙ্গে দেখা করতে গেল তার বন্ধু জনি।
জনি: কেমন আছো, মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
নাহ, মাইকেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ভেবে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল তাকে দেখতে।
জনি: এখন তোমার শরীরটা কেমন মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা।
আবার মন খারাপ করে ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল মাইকেলকে দেখতে।
ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কেমন বোধ করছ মাইকেল?’
মাইকেল জবাব দিল, ‘ভালো।’
উচ্ছ্বসিত হয়ে জনি গেল ডাক্তারের কাছে।
বললো, ‘বাহ, আপনারা তো ওকে সুস্থ করে ফেলেছেন! কীভাবে করলেন?’
ডাক্তার: এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
(Disclaimer: এই বিভাগের জন্য জোকস হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা জনপ্রিয় বিষয়বস্তু থেকে নেওয়া হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র লোকেদের একটু আনন্দ দেওয়া… আমাদের উদ্দেশ্য নয় কাউকে উপহাস করা, অবজ্ঞা করা।)