মে মাসে ফের ঘূর্ণিঝড়ের 'অশনি'সংকেত। দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। আগামিকাল, রবিবার ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হতে পারে। বিকেলে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হতে পারে অশনি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার বিকেলেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপ।
মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছে, নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ে। তা ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। ১০ মে অন্ধ্রপ্রদেশের কাছে অবস্থান করবে সেটি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হাওয়ার গতি ১০-২০ নট এবং ১০ মে সর্বোচ্চ ৪৫ নট থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি। ১০ মে বিশাখাপত্তনম এবং ভুবনেশ্বরের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় ল্যান্ডফল করতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি থাকার সম্ভাবনা।
তবে এটাও ঠিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের বদলও হতে পারে। এর আগেও হয়েছে। ইউটার্ন নিয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে পারে 'অশনি'। সে কথা মাথায় রেখে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তটস্থ প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে।
সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে না করা হয়েছে। শুরু হয়েছে মাইকিং। রবিবার থেকে আবহাওয়ার অবনিত হতে পারে। বিপর্যয়ের কথা ভেবে ত্রিপল, পানীয় জল, শুকনো খাবার, ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরেও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। দিঘা, তাজপুরে তৈরি রাখা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। গতবার ঘূর্ণিঝড়ে দিঘা মোহনা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। সেটির সংস্কারের কাজ এখনও বাকি। তা তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে।
১৩ মে পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
শনি- রবিবার হালকা বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। সোম, মঙ্গলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়।