কলকাতা পেল ভ্রাম্যমান স্বাধীনতা এবং দেশভাগ জাদুঘর।
স্বাধীনতা দিবসে এর উদ্বোধন করা হল। ট্রামের মধ্য তৈরি করা হয়েছে সেই জাদুঘর। এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ নিগম।
রবিবার স্বাধীনতা দিবসে ওই জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে ধর্মতলায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দফতরের সচিব রাজেশ সিনহা, রাজ্য পরিবহণ নিগম ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিং কাপুর। লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে উপস্থিত ছিলেন লর্ড মেঘনাদ দেশাই এবং লর্ড কিশওয়ার দেশাই।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভারত শান্তির দেশ। বাংলা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যে বিশ্বাসী। আর এই জাদুঘরে সেই জিনিসই ধরা পড়েছে। বাংলা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। সে কথা জানা যাবে। এর পাশাপাশি দেশভাগের ফলে বাংলা এবং পঞ্জাবের মানুষের পর প্রভাব কী হয়েছিল, তা-ও জানা যাবে।
রাজেশ সিনহা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যাপারে জানা যাবে। কলকাতার মতো শহর- যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র সেখানে এই জাদুঘর হওয়ায় দারুণ লাগছে।
রজনবীর সিং কাপুর জানান, অভিনব এই জাদুঘর খুলতে পেরে খুব খুশি। উপমহাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবেন।
দু'টি ট্রামের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে এটি। কলকাতায় এই ধরনের প্রথম মিউজিয়াম এটি।
দেশভাগের বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাবে সেখান থেকে।
এই ধরনের প্রথম জাদুঘর খোলা হয়েছিল পঞ্জাবের অমৃতসরে। দেশভাগের সময় অজস্র মানুষের বয়ান ধরা রয়েছে সেই জাদুঘরে। বিভিন্ন উপায়ে ধরা রয়েছে সেই ইতিহাস। মানুষের বক্তব্য, বিভিন্ন নথিপত্র, ব্যক্তিগত ছবি রয়েছে সেই সংগ্রহশালায়। কলকাতার জাদুঘরে কী কী রয়েছে, দেখে নেওয়া যাক। প্রথম ট্রামে রয়েছে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের প্রতিরোধের ঘটনা। ১৯০০ থেকে ১৯৪৭ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। এবং সেখান থেকে দেশের স্বাধীনতা পাওয়া। কী করে সীমানা বিভাজন হল। দ্বিতীয় ট্রামে রয়েছে ছিন্নমূল মানুষের কথা। দেশভাগের পর তাঁদের সমস্যা, পুনর্বাসনের ঘটনা।