সাবওয়ে ব্যবহার না করার হাজার এক বাহানা দেন মানুষ। কিন্তু রাস্তা পারাপার করতে এর উপযোগিতা সকলেরই জানা। সময় বাঁচানোর জন্য পথচলতি মানুষ তা এড়িয়ে চলেন।
তবে সাবওয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম নেই। জল জমা, ময়লা, আলো না থাকা- সহ একগুচ্ছ অভিযোগ। এ কথা অস্বীকার করা যায় না। আর সে কারণে কেউ যদি বলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সাবওয়ে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, তাঁকে দোষ দেওয়ার কিছু থাকতে পারে না।
এই তো গেল খারাপ দিক। বা মানুষের সাবওয়ে ব্যবহার না করার অনীহা। তবে সাবওয়ে ব্যবহার করা যে রাস্তা পারাপার করা নিরাপদ, তা নিয়ে কেউ দ্বিমত জানাবেন না।
এবার আমরা দেখব এমন সাবওয়ে যা দেখে মাথা ঘুরে যেতে হবে। ভাবতে শুরু করবেন, তা সাবওয়ে না আর্ট গ্যালারি। এতদিন যেখানে মানুষ সাবওয়ে ব্য়বহার করতে চাইতেন না, এবার এই সাবওয়ে দেখলে তিনি ভিরমি খেয়ে যাবেন। এ কথা বললে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না।
কারণ সেটি দেখতে এতই চমৎকার। তাক লেগে যাওয়ার জোগাড়। এত সুন্দর করে কোনও সাবওয়ে গড়া যেতে পারে, জানা ছিল না। তেমনই সাবওয়ে গড়ে উঠছে নিউটাউনে। তার কাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। সেই সাবওয়ে সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী সায়ন মুখোপাধ্যায়। যিনি এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের গুগল ডুডল তৈরি করেছেন।
নিউটাউনের মেজর আর্টারিয়াল রোডের উল্টোদিকে সাবওয়ে সাজিয়ে তুলছেন তিনি। গুগল কী করে শিল্পীদের কাজ বেছে নেয়, তা তিনি হিডকো কর্তাদের জানিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর ওই ডুডলও ব্যবহার করা যাবে কিনা? তবে তা করা যাবে না। কারণ স্বত্ত্ব রয়েছে গুগলের।
সে যাই হোক। তিনি যে ভাবে সাবওয়ে সাজিয়ে তুলছেন তার জন্য হিডকো কর্তাদের না বিপদে পড়তে হয়। কারণ এত সুন্দর সাবওয়ে থেকে কেউ বাইরে যেতে চাইবেন কিনা, সন্দেহ! হিডকোর কর্তাদের আশা, দিন কয়েকের মধ্যেই সেটি খুলে দেওয়া হবে।