নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। একই ছবি থাকতে পারে উত্তরবঙ্গেও। সেখানকার বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। (প্রতীকী ছবি)
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই মুহুর্তে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পঞ্জাব থেকে পূর্ব অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যেটি উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ওপর দিয়ে গিয়েছে। এর ফলে আগামী চার দিন উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। (প্রতীকী ছবি)
এর মধ্যে কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যেমন আলিপুরদুয়ার,জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এই তিনটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর দার্জিলিঙে ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হবে। (প্রতীকী ছবি)
কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টি হবে। এর সঙ্গে বজ্রপাতও হবে। দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টিপাতের কারণ উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে নিম্নচাপ অক্ষরেখা গিয়েছে। তাই তার ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে। (প্রতীকী ছবি)
আর এর জেরে স্থানীয় ভাবে মেঘ সৃষ্টি হয়ে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে আগামী দুইদিন। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে আগামী দুইদিন ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। নীচের দিকের জেলাগুলির মধ্যে মালদা ও দুই দিনাজপুর মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। (প্রতীকী ছবি)
এই বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বাড়বে। এছাড়াও দার্জিলিং কালিম্পংয়ে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গে। (প্রতীকী ছবি)
দিন কয়েক আগে প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছিল কলকাতা। সেটা চলতি মাসের মাঝামাঝি। ১৬ জুন রাতভর বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছিল। জলবন্দি হয়ে পড়েছিল কলকাতার বিভিন্ন অংশ। ফের কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে মানুষের মনে ফের তৈরি হয়েছে শঙ্কা। (প্রতীকী ছবি)
আবহাওয়া দফতর পরামর্শ দিয়েছিল, বাড়িতেই থাকুন। কারণ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ জুনের বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, লাউডন স্ট্রিট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কসবা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, কসবা, বেহালা, টালিগঞ্জের মতো জায়গায় জল জমে যায়। (প্রতীকী ছবি)
জল জমে থাকা নিয়ে বেজায় নাজেহাল হয়েছিলেন কলকাতার মানুষ। এর পাশাপাশি একই ছবি বিভিন্ন জেলায়। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জেলায় জল জমে গিয়েছিল। অনেক জায়গায় ধস নেমেছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবল ভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল মানুষের জীবন। (প্রতীকী ছবি)