অপেক্ষার অবসান। শেষপর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছল বর্ষা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অংশেই বর্ষা চলে এসেছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন সাধারণত ঢোকে বর্ষা। এ বছর অনেকটা বিলম্ব হল। গত ১০ বছরে বর্ষার গতিপ্রকৃতি দেখলে এটা স্বাভাবিক বলে মত আবহাওয়া অফিসের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং দুই বর্ধমান ও বর্ধমানের একাংশে ঢুকেছে বর্ষা।
দুই বর্ধমানের ও বীরভূমের একাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় এখনও বর্ষা যায়নি। অনুকূল পরিস্থিতি থাকায় ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে বাকি এলাকায় ঢুকে পড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০ জুনের আগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আপাতত মাঝারি ও হালকা বৃষ্টিই চলবে।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কাল ও পরশু মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শুক্রবার থেকে কলকাতার আকাশ মেঘলা। এ দিনও তার ব্যত্যয় হয়নি। বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়।
আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিই হবে। ২০ জুন অর্থাৎ সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরের জেলাগুলি। বাড়ছে নদীর জলস্তর। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি অনেকটা কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। তাপমাত্রা এমনটাই থাকবে আগামী ক'দিন। স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকতে পারে।