শারোদৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। দিকে দিকে থিমের লড়াই। অভিনব থিমের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ভাবনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। রাজ্যের সেরা পুজোগুলিকে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর শুরু করেছিল ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’। বৃহস্পতিবার ঘোষিত হল ২০২৩ সালের সেরা পুজোর তালিকা।
কলকাতার মোট ১০৪টি পুজো কমিটির নাম রয়েছে সেই তালিকায়। ‘সেরার সেরা’, ‘সেরা মণ্ডপ’, ‘সেরা প্রতিমা’, ‘সেরা সাবেকি পুজো’, ‘বিশেষ পুরস্কার’-সহ মোট ৮ টি বিভাগে সেরা পুজো কমিটিগুলিকে বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর রেড রোডে বর্ণাঢ্য কার্নিভালে প্রতিমা-সহ অংশ নেবে এই কমিটিগুলি।
"বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২৩" এবার ঘোষণা করা হলো পঞ্চমীর দিনে।সেরার সেরা হিসেবে ৩৭ টি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তালিকার প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে যথাক্রমে চেতলা, সুরুচি । মোট ৩৭ টি পুজোকে সেরার সেরা, সেরা মণ্ডপ হিসেবে ৫টি পুজো কমিটিকে, সেরা প্রতিমা হিসেবে ৫টি পুজো কমিটি , সেরা ভাবনা হিসেবে ১৮টি, বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় ২৩ টি ক্লাবকে, সেরা পরিবেশ বান্ধব হিসেবে ১৩টি ক্লাবকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয় এদিন। তবে কলকাতা ছাড়া বাকি ২২ টি জেলায় বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান মোট ২৮৯ টি পুজো কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা ছাড়া বাকি ২২ টি জেলায় বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ ও সেরা সমাজ সচেতনতা বিভাগে প্রদান করা হবে। রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর জানিয়েছে যে পুজো কমিটিগুলি এই বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই পুজো কমিটি গুলিকে। মূলত সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মন্ডপ ও সেরা সমাজ সচেতনতা এই চারটি ক্যাটাগরিতেই বিভিন্ন জেলার পুজো কমিটি গুলিকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান তুলে দেওয়া হচ্ছে।
সেরার সেরা পুজো তালিকায় রয়েছে- চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, টালা প্রত্যয়, ত্রিধারা, কালিঘাট মিলন সংঘ, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, একডালিয়া এভারগ্রিন-সহ ৩৭টি পুজো। উল্লেখ্য, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালে পুজোর সেরা সম্মান বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান দেওয়া চালু করেন। ২০২২ সালে ভিন রাজ্যের সেরা পুজোগুলিকে বিশ্ববাংলা সম্মান দেওয়া শুরু হয়েছিল আর এবার এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বিদেশের পুজোগুলিকেও। প্রসঙ্গত, আগের বছরই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। তার ফলে বিশ্বের মানুষের মধ্যে বাংলার দুর্গাপুজো দেখার আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছিল। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা।