২০২০-তে 'বাংলা সঙ্গীত মেলা' শুরু হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর থেকে। ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে 'উত্তীর্ণ'-তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০২০-র শুরু থেকেই পাল্টে গিয়েছে সব কিছু। করোনাকালে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে বই পড়া, গান শোনা, আবার পুরনো গান ঝালিয়ে নতুন করে ভিডিও করা এমন নানান উপায় খুঁজে বার করে নিয়েছে নিজেরাই। বছরের সেরা উৎসবটাও ছিল ম্লান। শীত পড়তেই শহরে নতুন করে শুরু উৎসবের মরশুম। গান-নাটক, কবিতা, পিঠে-পুলির উৎসব এসব হবে তো? প্রশ্ন ছিল সকলের মনেই।
লকডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত বিভিন্ন মেলা। সখবর এখানেই। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রদর্শনী, 'বাংলা মোদের গর্ব'। তবে করোনার অতিমারীর পর এই প্রথম খোলা জায়গায় একাধিক শিল্পী একসঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বাংলা সঙ্গীত মেলায়। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি মেনে সর্বসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তবে স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক। ঠিক যেমনভাবে প্রেক্ষাগৃহে বসার ব্যবস্থা, তেমনভাবেই একটা সিট ছেড়ে বসার ব্যাবস্থা থাকবে সঙ্গীত মেলার বিভিন্ন ভেনুগুলিতে। কলকাতার শিল্পীরাতো থাকছেন, আসছেন বাউল শিল্পীরাও।
অন্যান্য বছরের মতই রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, মধুসূদন মঞ্চ, ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চ, হেদুয়া, দেশপ্রিয় পার্ক, রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে সঙ্গীত মেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নতুন ভেনু হিসেবে যুক্ত হয়েছে যোধপুর পার্কের তালতলা মাঠ।
গত বছর ৪ ডিসেম্বর, নজরুল মঞ্চে বাংলা সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রায় সব শিল্পীরা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, উষা উত্থুপ, হৈমন্তী শুক্লা, কুমার শানু, অভিজিৎ থেকে শুরু করে ঝুমুর, কীর্তন, বাউল, সাঁওতালি গানের শিল্পীরাও ছিলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে মঞ্চে পেয়ে দুকলি গান শোনানোর জন্য অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রোত্রপাঠ দিয়ে শুরু করলেও পরে তিনি গাইলেন শ্যামল মিত্রর বিখ্যাত গান 'ও মন কখন শুরু কখন যে শেষ'।