Advertisement

Abhijit Gangopadhyay Dialogue : এজলাসের মতোই আজও 'চোখা ডায়লগ', নেতা অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাছাই করা ১৫ মন্তব্য

বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক থেকে পেশাদার রাজনীতিকের মতো একের পর এক ঝাঁঝালো মন্তব্য করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

abhijit gangopadhyay
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Mar 2024,
  • अपडेटेड 5:34 PM IST
  • পেশাদার রাজনীতিকের মতো একের পর এক ঝাঁঝালো মন্তব্য করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  • রইল বাছাই করা সব মন্তব্য

বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক থেকে পেশাদার রাজনীতিকের মতো একের পর এক ঝাঁঝালো মন্তব্য করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি থাকাকালীন 'ঢাকি সমেত বিসর্জন' থেকে 'দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। আপনারা (আইনজীবীরা) সাহায্য করছেন। তার পরও হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।' আবার তিনি বলেছিলেন,'এক জ্যাঠামশাই বলে বেড়াচ্ছেন আমি আইনের এবিসিডি জানি না। তিনি নিজে কি এবিসিডি জানেন?’-এমন নানা মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। রাজনীতির ময়দানেও তিনি যে ফুল ফর্মে আছেন তার নমুনা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক এমন মন্তব্য করলেন যেন কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। আসুন দেখে নিই কী কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

১) রাজ্যের শাসকদলই আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, রাজনীতিতে আসার। তাঁদের মুখপাত্রপরা অনেক অপমানজনক কথা বলেছেন। তাঁরা জানেনই না, বিচারপতিকে এভাবে আক্রমণ করা যায় না। বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করা যায় না। কোনও রায় নিয়ে সমালোচনা করা যায়। 

২)   কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কু-কথা বলার জন্য জনপ্রিয়। এটাই তাঁর পরিচয় হয়ে উঠেছে। আমি জানি না কোন পরিবার থেকে তিনি উঠে এসেছেন। আমার মনে হয়, তাঁর বেড়ে ওঠাটাই ভালো নয়। অরুণাভ ঘোষ কোনও কাউন্টের মধ্যেই আসে না। কে অরুণাভ ঘোষ? 

৩)  ভদ্রলোকেদের রাজনীতিবিদদের আসা উচিত। দুবৃত্ততে ছেয়ে গেছে রাজনীতিক দলগুলো। আমার মনে হয়, লেখাপড়া জানা লোকের রাজনীতিতে আসা উচিত। অনেক শিক্ষিত লোক রাজনীতিবতে আসতে চান। তবে দুবৃত্তদের জন্য তাঁরা রাজনীতিতে আসতে চান না। 

৪) আমি ভগবানে বিশ্বাস করি। ধর্ম পালন করি। তাই সিপিআইএম-এ যাইনি। কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের দল। পরিবারের জমিদারি। ভালো ভালো নেতারা রাহুল গান্ধির কথা মতো চলেন। কংগ্রেস পারিবারিক জমিদারির দল। 

Advertisement

৫) তৃণমূলের অনেকে দল ছাড়ছেন তা জানি না। আমি বুঝতে পারছি তৃণমূল ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছে। এই দল আর পশ্চিমবঙ্গে বেশিদিন নেই। একটা সামান্য প্রশ্ন করলেই তৃণমূলের মুখপাত্ররা কিছু বলতে পারবেন না। তখন ধেড়িয়ে যাবেন। এরা সব টিকিওয়ালা মুখপাত্র। 

৬) সন্দেশখালির মতো ঘটনা বহু জেলায়, বহু গ্রামে আছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন। বীরভূমেই শুনছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করতে দেবে না তৃণমূল। 

৭) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ। তাঁকে আমি সেইভাবেই দেখি। তিনিও আর পাঁচজন রাজনীতিবিদের মতোই। তার বাইরে আর কী বলব। 

৮) নারদকাণ্ড একটা চক্রান্ত। তৃণমূলের একজন সেনাপতি না কে আছে সে এটা করিয়েছে। অ্যালকেমিস্টকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনা করেছিল। এটা চক্রান্ত। এক ভদ্রলোককে ব্যবহার করে এটা করা হয়। দলের সিনিয়রদের কেউ কেউ যখন ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল, তখন এটা করা হয়েছিল।

৯) 'হ্যাঁ। তাঁরা এখন তালপাতার সেপাইকে সেনাপতি বলে ডাকছেন। তালপাতার সেপাই আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দাঁড়াবেন। আমি ভয় পাই নাকি। আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বৃত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। আমি দেখিয়ে দেব। ডায়মন্ডহারবারে ওঁর দুর্বৃত্ত দল আছে। লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব।' এরপরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, 'তালপাতার সেপাই' বলতে কার কথা বলছেন?' অভিজিৎ বলেন, 'ওঁর নাম নেব না। আমি এখানে কোনও স্ল্যাং(খারাপ শব্দ) বলতে আসিনি। ওঁর নাম আমি স্ল্যাং বলে মনে করি।'

১০) তৃণমূল একটা রাজনৈতিক দল নয়। যাত্রাপার্টি। তাদের বিবেক চরিত্র আছে। এই যাত্রার নাম মা মাটি মানুষ। কিছু ভালো লোক আছে। যারা না বুঝেই ঢুকে পড়েছেন। তৃণমূল হল দুষ্কৃতীদের দল। 

১১) তালপাতার সেপাইয়ের পেটে দুটো বোম মারলে মুখ থেকে কিছু বেরোবে না। সন্দেশখালি পথ দেখিয়েছে। ওখানকার মহিলারা ভালো কাজ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যাননি সন্দেশখালিতে? সেখানকার যিনি সাংসদ তিনি কি গিয়েছেন? 

১২) আমি কাউকে সহজ বা কঠিন প্রতিপক্ষ বলে ভাবি না। যদি ভোটে দাঁড়ায় তা হলে তখন ভাবব। কে কত আসন পাবে জানি না। আমি এভাবে প্রেডিক্ট করি না। 

১৩) যারা বিচারপতিদের আক্রমণ করছে, তাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব। অনেক দালাল আছে কোর্টে। তারা কালো কোট পরে কোর্টে ঢোকে। তারা হয়তো এখনও আছে। আমার মনে হয়, ২০০৯ সালের সিপিএমএর যেমন অবস্থা হয়েছিল, তেমনই অবস্থা হবে তৃণমূলের। তাদের পতনের দিন ঘনিয়ে আসছে। 

১৪) ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূল দলটা টিকবে? দু একজন গ্রেফতার হলেই দলটা গুটিয়ে যাবে। ওদের কে আছে? মাত্র ২-১ জনের গ্রেফতার হওয়া প্রয়োজন। 

১৫) শাসক দলের পক্ষ থেকে আমাকে আক্রমণ করা হয়েছিল। অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল। বলা যেতে পারে তারাই আমায় অনুপ্রেণা জুগিয়েছেন, যার জন্য কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে এই পদক্ষেপ করলাম। বহু টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আমার। পাঁচ মাস, আমি তো মাইনে পাব না। পেনশন হিসেবে যে টাকাটা পাব, সেটা মাইনের থেকে অনেক কম। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও অনেক কম। যাইহোক তারাই আমায় অনুপ্রেণা জুগিয়েছেন। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement