দিনভর টানটান উত্তেজনায় ভরা ঘটনা পরম্পরার পর রবিবার রাতেই বিশেষ বিমানে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ত্রিপুরা (Tripura) থেকে কলকাতায়(Kolkata) ফিরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে একই বিমানে কলকাতায় ফেরেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তও। এখানে তাঁদের চিকিৎসা করান হবে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতায় ফিরে ত্রিপুরার অভিজ্ঞতার কথা জানান দেবাংশু ভট্টাচার্য।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার (Saturday)। দলীয় কাজে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর মতো তৃণমূল (TMC) নেতানেত্রীরা। অসম-ত্রিপুরা রাজ্য হাইওয়েতে তাঁদের গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাথর। পাথরের আঘাতে মাথাও ফেটে যায় একজনের। কিন্তু পুলিশ কোনওভাবেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ। বরং যারা হামলা চালিয়েছে পুলিশ তাদের হয়েই কাজ করছিল বলে দাবি তৃণমূলের। এরপর রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ১৪ জন নেতা কর্মীকে।
দেবাংশুর মুখে ঘটনার বিবরণ
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, সন্ধ্যে প্রায় ৬টা নাগাদ পাইলট কার দেওয়া হয় তাঁদের। ৭টা নাগাদ গাড়ি চলতে শুরু করে। আম্বাসা পাহাড় থেকে আগরতলার দূরত্ব প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এদিকে ত্রিপুরায় নাইট কার্ফু শুরু হয় ৭টায়। দেবাংশুর যুক্তি, সেক্ষেত্রে গাড়ি যদি সাড়ে ৫টাতেও দেওয়া হত তাহলেও নাইট কার্ফুর সময় পেরিয়ে যেতে। এরপরেই রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
দিনভর উত্তেজনা
এদিকে তৃণমূল নেতানেত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক সরগম হয়ে ওঠে ত্রিপুরা ও বঙ্গের রাজনীতি। রবিবার সকালেই সেখানে পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ত্রিপুরায় যান ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ এবং দোলা সেনও। খোয়াই থানায় দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে তৃণমূল নেতৃত্বের। এদিকে থানার মধ্যে যখন অভিষেকরা রয়েছেন, ঠিক সেইসময়ই বাইরে ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। যদিও পরে তৃণমূল নেতানেত্রীদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।