দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক-ফিরহাদ। তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এদিন সুব্রত বক্সী-কুণালের পাল্টা মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল। আর তারই মাঝে হঠাতই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার কিছুটা আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই কালীঘাটে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে ঠিক কী নিয়ে এদিন আলোচনা হচ্ছে, তা এখনও জানা যায়নি।
সোমবার তৃণমূলের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চেই আলোচনায় ছিল নবীন-প্রবীণ বিতর্ক। এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে... মমতা আছেন বলেই দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় থাকে বাংলা।'
এদিকে সেই মন্তব্যের পাল্টা কুণাল বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা নিয়ে অভিষেক দিল্লিতে ঝড় তুলেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে... এই প্রশ্নটাই আসছে কোথা থেকে?'
শুধু তাই নয়, এদিন সুব্রত বক্সী বলেন, 'আমাদের ধারণা উনি (অভিষেক) লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।' কুণাল ঘোষ এর পাল্টা বলেন, 'পিছিয়ে যাওয়ার কথা আসছে কোথা থেকে? ওনার বাক্য গঠনে সমস্যা রয়েছে।'
দলে প্রবীণরা পদ ছাড়ুন। নবীনদের জায়গা করে দিন। এর আগে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। দলেরই একাংশের দাবি, এর মাধ্যমে কার্যত তৃণমূলে প্রবীণদের অবদান অস্বীকার করছেন কুণাল। সোমবার সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে কুণাল বলেন, দলে প্রবীণদের অবদান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে 'পারফরম্যান্স' নিয়ে কোনও আপোস করতে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুণাল নন্দীগ্রামের ব্যর্থতার জন্যও এই খারাপ 'পারফরম্যান্স'কেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে যারা দায়িত্বে ছিল তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে জেতাতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে আছেন। সেখানকার মতো জায়গাতেও তাঁরা ঠিক করে পারফর্ম করতে পারলেন না।'