Advertisement

মিমিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন! ধৃতকে জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

জেরায় ধৃত দেবাঞ্জন জানিয়েছে, সে বাগড়ি থেকে ভ্যাকসিন (Vaccine) কিনেছিল। তার সেই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে পুলিশ। চলতি মাসে সে নিজেকে পুরসভার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যভবনে পরপর ২টি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে সে লেখে, মানুষকে দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন লাগবে। ইতিমধ্যেই সেই দুটি চিঠিও তদন্তকারী অফিসরাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

মিমি চক্রবর্তী
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 23 Jun 2021,
  • अपडेटेड 5:40 PM IST
  • মিমিকে ভুয়ো টিকার অভিযোগ
  • গ্রেফতার ১ ব্যক্তি
  • জেরায় উঠে এল বেশকিছু তথ্য

শহর কলকাতায় উঠেছে ভুয়ো টিককরণের (Vaccination) অভিযোগ। আর সেই টিকাকরণ ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম দেবাঞ্জন। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু তথ্যও উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। 

পুলিশ সূত্রে খবর জেরায় ধৃত দেবাঞ্জন জানিয়েছে, সে বাগড়ি থেকে ভ্যাকসিন (Vaccine) কিনেছিল। তার সেই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে পুলিশ। চলতি মাসে সে নিজেকে পুরসভার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যভবনে পরপর ২টি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে সে লেখে, মানুষকে দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন লাগবে। ইতিমধ্যেই সেই দুটি চিঠিও তদন্তকারী অফিসরাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এছাড়াও দেবাঞ্জন জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই তার বাবা চাইতেন সে আইএএস অফিসার হোক। সেইমতো একবার পরীক্ষাতেও বসেছিল সে। এছাড়া সে জেনেটিক্সে এমবিএ করেছে এবং ভাল ক্রিকেট খেলত বলেও জেরায় জানিয়েছে ধৃত দেবাঞ্জন। 

জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, গত ৪ বছর ধরে নীলবাতির গাড়ি নিয়ে ঘোরে দেবাঞ্জন। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। আর শুধু এবারই নয়, গোটা মাস ধরেই ভ্যাকসনি ক্যাম্প চালিয়েছে সে। সেক্ষেত্রে আরও অনেক মানুষ তার কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত টিকাকরণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একটি ভ্যাকসিনেশান ক্যাম্পে সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে যেতে রাজি হন মিমি। টিকা নেওয়া যে নিরাপদ তা দেখাতে ওই ক্যাম্প থেকে নিজেও টিকাও নেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরে তাঁর মোবাইলে কোনও সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেন না আসায় তার কারণ জানতে চান তিনি। উত্তরে উদ্যোক্তারা জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাসেজ চলে আসবে। কিন্তু বাড়ি ফেরার বেশকিছুক্ষণ পরেও সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজ না আসায় তাঁর অফিস কর্মীদের ওই ক্যাম্পে পাঠান মিমি। সেখানে মিমির অফিস কর্মীদের জানানো হয় সার্টিফিকেট পেতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। সেই কথায় সন্দেহ হয় সাংসদের। এরপরেই তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ক্যাম্পে টিকা নিতে যাওয়া কোনও ব্যক্তিরই রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেটের মেসেজ আসেনি। এরপরেই পুলিশকে ফোন করেন তিনি। পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে দেবাঞ্জনকে। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement