আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দিকে দিকে আন্দোলন-প্রতিবাদ হচ্ছে। টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। রাস্তায় নামছেন। এরকমই এক প্রতিবাদী বাংলাকে তিনি দেখতে চেয়েছিলেন। জানালেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই আন্দোলনের ফলে তিনি খুশি। সাফ জবাব মহাগুরুর।
আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর মিঠুন চক্রবর্তী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। তিনি সর্বতভাবে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। সেই সময় বলেছিলেন, 'বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি। আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।'
মিঠুন এই কথা যখন বলেছিলেন তখনও বাংলাজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ চলছিল। তবে পরবর্তীতে তা আরও বাড়ে। আজ সোমবার মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। এই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'এই বাংলায় দেখতে চেয়েছিলাম। দেখতে পাচ্ছি। খুব আনন্দ হচ্ছে। আমরা যেন এই আন্দোলনে সবাই একসঙ্গে থাকি। আর আমি বলছি মানে এটা নয় যে, বিজেপি বলছে। ব্যক্তি আমি বলছি। এটা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে। এই আন্দোলনে আমরা সবাই যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পথে নামি।'
প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে প্রতিদিনই নতুন নতুন আন্দোলন দানা বাঁধছে কলকাতায়। রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো পথে নামছে। আন্দেলনের প্রথম থেকেই প্রতিবাদে নেমেছেন টলিউডের তারকারা। দিন যত গড়িয়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝও বেড়েছে। গতকাল আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে রাত ৮টা নাগাদ রানি রাসমণি অ্যাউিনিউয়ে ধর্নামঞ্চে বসেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সোহিনী সরকারের মতো টলিউডের অভিনেত্রীরা। সারারাত তাঁরা ছিলেন সেই ধর্না মঞ্চে। ভোর ৪ টের সময় সেই ধর্না শেষ হয়। এদিকে আজ বিকেলে লালবাজার অভিযান করছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। অবিলম্বে সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।