"দিদির চোখে কখনও কেউ সাধু, কখনও চোর। দাসত্ব করলে সাধু, আর না হলেই শয়তান", নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, "তৃণমূলের কর্মীরা দেখছেন যে দলের কোনও মাপকাঠি নেই। পরিবারের ২টি ব্যক্তির সংগঠন। মূল্যবোধ হারিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান।"
অধীর চৌধুরীর আরও দাবি, "তৃণমূলের (TMC) ভিতরে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো বিক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে। একদিন তৃণমূল গড়তে যাঁর এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী ভেবে এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সেই ভুল ভাঙতে শুরু হয়েছে। তাঁরা শুধু একটা যোগ্য বিকল্প পাচ্ছেন না। যেদিন যোগ্য বিকল্প আসবে, সেদিন দিদির সাধের তৃণমূল কর্পূরের মতো উবে যাবে।"
একযোগে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ
এদিন ফের একবার বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "মোদীর স্লোগান কংগ্রেস মুক্ত ভারত, আর দিদির স্লোগান কংগ্রেস মুক্ত বিরোধী। মোদী ও দিদির এই ঐক্য নিশ্চয় দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। আজ পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একবারও বলেননি বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাত করে আমি ভুল করেছিলাম। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে দিদি বিজেপির সঙ্গে যে ঘর করেছিলেন তা তিনি বজায় রাখতে চাইছেন।"
নিশানায় অভিষেক
অন্যদিকে এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) নিশানা করেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি। অধীর বলেন," কংগ্রেসকে দুর্বল ভাবার অধিকার সবার আছে। তবে তার আগে একবার তাঁর পিসির সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত যে মহাকরণ অভিযানটা কারা করেছিল। পিসি তখন কোথায় ছিলেন? সেইসব জেনে নিয়ে বললে ভাল হয়।"