'ধনঞ্জয় আর সঞ্জয় সব এক করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, রাজ্যের মন্ত্রী এখন থেকেই গোটা বিষয়টাকে লঘু করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। যদি ধনঞ্জয় হয়, আর আপনাদের সন্দেহ থাকে, তাহলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বলেছিলেন আসল অপরাধীকে আমরা ধরে ফেলেছি। তাঁকে জিজ্ঞেস করুন।' কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ জাতীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে আরজি করের ঘটনায় এমনটাই মন্তব্য করেন।
অধীর চৌধুরী বলেন, 'নির্ভয়া কাণ্ডে ভারতবর্ষে বড় আন্দোলন হয়েছিল। বাংলায় এখনকার ঘটনা নিয়ে এমন কোনও বড় আন্দোলন আগে দেখা যায়নি। বাংলার জনগণের আবেগ ও দাবি যথার্থ।' এবং তিনি মনে করেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের তদন্তকারী দলগুলিকে সক্রিয়তা দেখিয়ে এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা উচিত।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি উল্লেখ করেন, রাজ্য জুড়ে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এই অবস্থায় বাংলার মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের সম্মুখীন।' অধীর বলেন, 'নারীদের নিরাপত্তার জন্য বাংলার জনসমাজকে জাগ্রত হতে হবে। বিশেষ করে যুবসমাজ এবং ছাত্রদের আরো বেশি করে সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।'
এছাড়াও, অধীর রঞ্জন চৌধুরী উল্লেখ করেন যে, ধনঞ্জয় আর সঞ্জয়ের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন রাজ্যের মন্ত্রীরা এমন মনোভাব পোষণ করছেন এবং কেন তারা এই ঘটনার গুরুত্বকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিও প্রশ্ন তোলেন, যিনি আগে বলেছিলেন যে তাঁরা অপরাধীদের ধরে ফেলেছেন। অধীর চৌধুরী দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কেন বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন এবং কেন তিনি এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন না। তিনি সরকার এবং রাজ্যের মন্ত্রীর মনোভাবের সমালোচনা করেন এবং এই ধরনের মানসিকতাকে ধিক্কার জানান। অধীরের মতে, বাংলার মানুষের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক এবং এই দাবি অনুযায়ী তদন্তকারী দলগুলির সক্রিয়তা দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে।
অধীরের কথায়, 'এর মধ্যেই ঘটনাকে লঘু করা করে দেখানোর জন্য ধনঞ্জয় আর সঞ্জয় সব এক করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। ধনঞ্জয়ের কাহিনী আমরা জানি। আপনাদের যদি সন্দেহ থাকে যে ধনঞ্জয় হবে না তো? তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে বলুন যিনি গর্ব করে বলেছিলেন আমরা আসামি ধরে ফেলেছি। শাসক দলের এবং রাজ্যের মন্ত্রীর এই মানসিকতাকে আমি ধিক্কার জানাই।'