মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়- তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীকে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এজেন্ডা আজতকে 'জিত কি গ্যারান্টি' নিয়ে শাহ বলেন,'দূরদর্শিতা, কঠোর পরিশ্রম এবং জনকল্যাণকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই তিন গুণ খুব কম নেতার মধ্যেই দেখা যায়।' এরপরই তাঁর সংযোজন,'বিজেপির জয়ের একমাত্র কারণ নরেন্দ্র মোদী, নরেন্দ্র মোদী এবং নরেন্দ্র মোদী।'
বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে লোকসভা ভোটে জয়ের পথ সহজ বলে মত অমিত শাহের। তাঁর কথায়,'তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী।' ছত্তিসগঢ়ে কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। এমনকি একাধিক সমীক্ষায় সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কোথায় হারল কংগ্রেস? অমিত শাহের জবাব,'কংগ্রেসের বুঝতে পারবে না কোথায় তারা হারল! ১০ বছরে ১৩ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছেন মোদী। ৬০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি সুবিধা। বাড়ি, শৌচালয়, গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুৎ, বিনামূল্যে রেশন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, অনলাইনে সরকারি অর্থ পেয়েছেন মানুষ।'
শাহ আরও বলেন,'এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছে এই তিনটি রাজ্য (রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ)। কারণ এই তিনটি রাজ্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে রাজ্য ছিল। আজ সেখানে উন্নয়ন হয়েছে। সুবিধাভোগীরা জয়ের অন্যতম কারণ।'
তিনটি রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখদের বাছাই করা হয়েছে। এনিয়ে শাহ বলেন,'যে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা আমাদের দক্ষ কর্মী। আমিও একসময় কর্মী ছিলাম। বুথ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এমন ব্যাটসম্যানদের (এমএলএ) অধিনায়ক (সিএম) করা হয়েছে যাঁরা আগে কখনও অধিনায়কত্ব করেননি।' এত বড় দায়িত্ব তাঁরা আদৌ পালন করতে পারবেন? শাহ বলেন,'বিজেপি হাইকমান্ড যখন নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তিনি বিধায়ক তো ছেড়ে দিন, পঞ্চায়েত ভোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।'
২০২৪ সালে বিজেপির ভোট ভাগ কমবে নাকি পাঁচ শতাংশ বাড়বে? শাহের দাবি, ২০২৪ সালে বিজেপি বড় জয় পাবে। বিজেপি দক্ষিণের রাজ্যে নেই, এই বিতর্কেরও অবসান হবে।' শাহের ব্যাখ্যা,'কর্নাটকে আমাদের সরকার ছিল, আমরা এখনও সেখানে প্রধান বিরোধী। তেলেঙ্গানায় আমাদের আসন বাড়বে। তামিলনাড়ু এবং কেরলেও ভোটের শতাংশ এবং আসন উভয়ই বাড়বে। যারা উত্তর-দক্ষিণ করে ভারতকে বিভাজনের চেষ্টা করছে, তাদের নিন্দা করছি।'