Advertisement

Air Pollution: কলকাতার সকালের বাতাসে 'বিষ', ফুসফুসের দফারফা রুখতে বিকেলে হাঁটার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

শীত পড়তেই বাড়ছে শহরের বাতাসে দূষণ। শুক্রবার কলকাতার অন্তত তিনটি জায়গার বাতাসের গুণমান খুব খারাপ অবস্থায় নেমে এসেছে। এদিন সকাল ১১টায় বালিগঞ্জ, ফোর্ট উইলিয়াম এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলি "খুবই খারাপ" বাতাস রেকর্ড করেছে৷

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Nov 2023,
  • अपडेटेड 12:43 PM IST
  • শীত পড়তেই বাড়ছে শহরের বাতাসে দূষণ।
  • শুক্রবার কলকাতার অন্তত তিনটি জায়গার বাতাসের গুণমান খুব খারাপ অবস্থায় নেমে এসেছে।

শীত পড়তেই বাড়ছে শহরের বাতাসে দূষণ। শুক্রবার কলকাতার অন্তত তিনটি জায়গার বাতাসের গুণমান খুব খারাপ অবস্থায় নেমে এসেছে। এদিন সকাল ১১টায় বালিগঞ্জ, ফোর্ট উইলিয়াম এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলি "খুবই খারাপ" বাতাস রেকর্ড করেছে৷ বিধাননগর, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (বিটি রোড) এবং রবীন্দ্র সরোবরের স্টেশনগুলি "খারাপ" বাতাস রেকর্ড করেছে৷ যাদবপুর স্টেশনের ফলাফল তখন পাওয়া যায়নি।

বিকেল ৫টা নাগাদ, বাতাসের মানের একটু উন্নতি হয়েছিল এবং সাতটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেই "খারাপ" বাতাস রেকর্ড করা হয়েছিল। সমস্ত মনিটরিং স্টেশনের ডেটা প্রকাশ করা হয়েছিল। যাতে দেখানো হয়েছে পিএম ২.৫। কণাগুলির আকার ২.৫ মাইক্রনের কম। পিএম ২.৫ কণাগুলি বিষাক্ত। কারণ সেগুলি ধাতু বা বিষাক্ত গ্যাসের  প্রলেপযুক্ত। বায়ুর গুণমান ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অনুমিতা রায় চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, পিএম ২.৫ এত সূক্ষ্ম কণা যে, সেগুলি শরীরের বাধা ভেদ করে রক্তপ্রবাহের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। ওই কণা শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। ওই কণা শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং যানবাহন দ্বারা নির্গত হয়। নাইট্রোজেন বা সালফারের অক্সাইডের মতো গ্যাস যখন বাতাসে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে তখন কণাগুলিও বাতাসে তৈরি হয়।

বাজে বাতাসের কারণে অনেকে জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছেন। গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মতে, খারাপ বাতাসের কারণে বহু মানুষের দীর্ঘদিনের জন্য শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

একথা কলকাতার একাধিক পালমোনোলজিস্ট জানিয়েছেন। এমনকি যাদের কোনও অসুস্থতা নেই, তাঁদেরও শরীর খারাপ করতে পারে এরকম দূষিত বাতাস শরীরে প্রবেশ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এছাড়াও দূষিত বায়ু হাঁপানি এবং সিওপিডিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সিওপিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। যেকারণে শিশু এবং বয়স্কদের অতিরিক্ত সুরক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ তারা অন্যদের তুলনায় দূষিত বাতাসের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সকালে নয়, বিকেলে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এবং মাস্ক পড়ার নিদান দিচ্ছেন।

Advertisement

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন বিজ্ঞানী বলেছেন যে, "ভাল" এবং "সন্তোষজনক" বাতাসের সংক্ষিপ্ত ব্যবধান মূলত বাতাসের গতি বৃদ্ধির কারণে। শীতকাল সাধারণত ধীর বাতাস, বৃষ্টির অভাব এবং ঠাণ্ডা বাতাস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা মাটির কাছাকাছি দূষণকারীকে আটকে রাখে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement