প্রাণীপ্রেমীদের জন্য ভাল খবর। ভোল বদলাতে চলেছে আলিপুর চিড়িযাখানা (Alipore Zoo)-র। আর এই কাজে আলিপুর চিড়িয়াখানার সঙ্গে চেকস্লোভাকিয়ার সঙ্গে সমঝোতাপত্র সাক্ষর করা হয়েছে।
নতুন কী হবে
৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo)। ৪০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে ১৩৮ বছর বয়সের এই চিড়িয়াখানা। সেখানে ব্রিডিং সেন্টার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তির ছোঁয়া
আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo)-য় অত্যাধুনিক গেট বসানো হচ্ছে। ভিড় এড়াতে টোকেন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।
খাবার নিয়ে নিয়ম
খাবার বাইরের থেকে আনা যাবে না। সেখানকার প্রাণীদের খাবার দেওয়া আটকাতে ভিতরে রেস্তোঁরা করা হবে। দু'ধরনের রেস্তোঁরা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটা হবে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য। অন্যটি বিলাসবহুল।
নিরাপত্তা
লোহার ফেন্সিং সরিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের ফেন্সিং বসানো হবে। ব্রাজিল থেকে চারটি অ্যানাকন্ডা আনা হবে। অ্যানাকোন্ডার খাঁচায় কাঁচের পাশাপাশি অতিরিক্ত জাল লাগানো হবে।
আয় বাড়াতে
বিজ্ঞাপনের জন্য এলইডি বসানো হবে। মাল্টি ডাইমেনশনাল অ্যাকোয়ারিয়াম করা হবে চিড়িখানার ঠিক উল্টো দিকের জমিতে। প্রাণী দত্তকের খরচ কমানো হচ্ছে।
জরুরি বৈঠক
শুক্রবার চিড়িখানার আধুনিকীকরণ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদা। নতুন ৯ টি পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হবে রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্টও। যাঁরা গবেষণা করবেন।
আরও অতিথি
বিরল প্রজাতির পশু রেড পন্ডা, ফিশিং ক্যাট, স্নো লেপার্ড সংরক্ষণে আরও জোর দেওয়া হবে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ৮টি রেড পান্ডাকে রেডিও কলার পড়িয়ে জঙ্গলে ছাড়া হবে। সেগুলো কেমন থাকে তার উপর নির্ভর করে বাকি দুই প্রজাতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনখারাপ ছিল ওদের
লকডাউন (Lockdown)-এর প্রভাব পড়েছে সব জায়গায়। গৃহবন্দি থাকায় মানসিক চাপ বেড়েছে। অজস্র মানুষ কাজ হারিয়েছেন। প্রভাব পড়েছে ওদের মনেও। ওরা বলতে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo)-র সদস্যরা। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল চিড়িয়াখানা।
মানুষের দেখা না পেয়ে, ভিড় না দেখতে পেয়ে বদলে গিয়েছিল ওদের আচার-আচরণ। বেশ মুষড়ে পড়েছিল তারা। এমনই জানাচ্ছেন আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo) কর্তৃপক্ষ। অনেকের আবার বেশ সুবিধাও হয়েছিল।