উৎসবের মরশুমে নিরবচ্ছিন্ন জরুরি পরিষেবা দেবে কলকাতা পুরসভা। বুধবার এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম।
এদিন কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, পুজোর সময় সব জরুরি পরিষেবা পাওয়া যাবে।
কোন কোন পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা?
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মহানগরীতে আরও বেশি করে জীবাণুমুক্তির কাজ করা হবে। এ ব্যাপারে ফিরহাদ জানান, আরও একটা কামান আসছে। সামনের সপ্তাহে সেটি চলে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
স্যানাটাইজেশনের জন্য কলকাতা পুরসভার কাছে দুটি কামান রযেছে।
এদিন এক অনুষ্ঠানে পুজো সংক্রান্ত গাইড বুক প্রকাশ করে কলকাতা পুরসভা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মণ্ডপ খোলামেলা করতে হবে৷ মণ্ডপের চারপাশ খোলা রাখতে হবে৷ চারপাশ ঘেরা থাকলে মণ্ডপের ছাদ খোলা রাখতে হবে যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মণ্ডপে আরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে৷
দুর্গাপুজোর সময় যানজট এড়াতে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুজো উদ্যোক্তারা কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসার সময় নিজেদের রুট ব্যবহার করতে পারবে না। এর জন্য কলকাতা পুলিশ নির্দিষ্ট রুট তৈরি করে দিয়েছে। প্রতিমা আনার সময় কুমোরটুলি যেতে ব্যবহার করতে হবে তিনটে রাস্তা। যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউ, রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট এবং অরবিন্দ সরণী ব্যবাহার করতে হবে। অন্যদিকে, কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে ফিরতে হবে তিনটে রাস্তা ধরে- বাগবাজার স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড ও টালা। পুলিশ জানিয়েছে, যানজট এড়াতে এই সময় পণ্যবাহী গাড়িগুলির রুট বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই রুটগুলি হল স্ট্র্যান্ড রোড, নিমতলা ঘাট স্ট্রিট, বি কে পাল অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউ। গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। প্রতিমাবাহী গাড়ি রাখতে হবে রবীন্দ্র সরণীর পশ্চিম দিকে। ঠিক করা হয়েছে, কেবলমাত্র প্রতিমাবাহী গাড়ি ঢুকতে পারবে কালীঘাট রোডে।