যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সৌরভ চৌধুরী নামে একজন প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, যাদবপুরের হস্টেলে আদৌ নজরদারি হয়। উঠে আসছে, বিভিন্ন অভিযোগ। এসবের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র দাবি করলেন, আগের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কিছুটা পাল্টেছে। নজরদারির অভাব রয়েছে, এই অভিযোগও শুনছেন। তিনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে বললেন, র্যাগিং আগেও হত, কিন্তু এরকম ঘটনা কোনওদিন হয়নি।'
অম্বিকেশ মহাপাত্র ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের হস্টেলে ছিলেন। তখন তিনি গবেষণা করছেন। গবেষণার কাজ শেষ করে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে যাদবপুরে পড়াতে আসেন। এখানেই অধ্যাপক হিসেবে কেটে গেছে ২১ বছর। বললেন, 'আমাদের সময়েও র্যাগিং হত। কিন্তু আমাদের হস্টেলে কোনওদিন কিছু হয়নি। এ ব্লকে র্যাগিং হচ্ছে শুনতে পেতাম। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ হয়েছে। হস্টেল গুলিতে কোনও নজরদারি হয় না, এই অভিযোগ জানান বহু পরিচিত ছাত্র-ছাত্রী।'
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ধে নামলেই বিভিন্ন জায়গায় নেশার আসর বসে, এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বললেন, 'কোল্ডড্রিঙ্কের বোতলে মদ, গাঁজা খাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে তাতে শুধুমাত্র যাদবপুরের পড়ুয়ারা থাকেন, তা নয়। বহুসময় শোনা যায় বাইরের বহু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও আসেন। তাদের অনেকেই ঝামেলা পাকায় বলেও শোনা যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে অনেকসময় ঝামেলার কথা শোনা গেছে।'
বিষয়গুলি কর্তৃপক্ষের অজানা নয়, দাবি অধ্যাপকের। বললেন, 'সকলেই সবটা জানেন। কিন্ত কেন ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, জানি না। হস্টেলগুলিতেও বিভিন্নরকম আড্ডা বসে। ক্যাম্পাসে তো বটেই। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কতটা ভালো, তা কর্তৃপক্ষই ঠিক করবে। তবে চাইলে এগুলো ঠিক করা যেতে পারে। ছাত্রের মৃত্যুতে আমরা সকলেই মর্মাহত। সঠিক তদন্ত হলেই, আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।'
উল্লেখ্য, এক দশকেরও বেশি সময় পর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র।