একুশের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি অমিত মিত্র। তারপরও তাঁকে অর্থমন্ত্রীর পদে বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের নভেম্বরে তাঁর মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে উপনির্বাচনে জিতে আসতে পারলে তিনি এই পদে থাকতে পারবেন না। তবে সূত্রের খবর, আর মন্ত্রির পদে থাকতে চাইছেন না অমিত মিত্র। তিনি নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আর উপনির্বাচনে দাঁড়াতে চান না অমিত মিত্র। তিনি অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে চান। ফলে কাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃতীয় ইনিংসে অর্থ দফতরের দায়িত্ব দেবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা
নবান্ন সূত্রে খবর, কাকে অর্থমন্ত্রী করবেন সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি অমিত মিত্রকে পুরোপুরো দায়িত্ব মুক্ত করতে চাইছেন না। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা পদে রাখা যায় কি না সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই নিয়ে তিনি একটি কমিটি গড়ারও পরিকল্পনা করেছেন। যে কমিটিতে থাকবেন অর্থনীতিবিদরা।
অনেকে আবার মনে করছেন অর্থ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রেও জটিলতা রয়েছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। তিনি ৬ মাসের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এখন। তাই তাঁকেও উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব-সহ অন্য মন্ত্রক নিজের হাতে রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুন : এবার শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্ত করবে CID
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উপর থাকা অর্থের বোঝা ও কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সব চ্যালেঞ্জ নিয়েই এতদিন ধরে দফতর সামলে আসছেন অমিত মিত্র। এখন তিনি এই পদ ছাড়লে তাঁর জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, তা নিয়ে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।