রাজ্য বিজেপিতে কি এবার বড়সড় রদবদল হতে চলেছে! চলতি সপ্তাহ জুড়ে অন্তত এমনটাই জল্পনা বাড়ছে। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির অন্দরে বড় বৈঠক ছিল। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের ডাকে সেখান গিয়ে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী মোদী। সবার সঙ্গেই বৈঠক করেন শুভেন্দু। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু ঠিক কী, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি। এরই মাঝেই রাজ্য বিজেপির ৩ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং এবং নিশীথ প্রামাণিক। এরা প্রত্যেকে বিজেপি সাংসদ। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই ৩ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ডেকে পাঠানোর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক কী পদক্ষেপ করতে চাইছে, তা ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে শীর্ষে নেতাদের মতভেদ সামনে এসেছে। যা ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। অন্যদিকে রয়েছে দল ভাঙানোর ভয়ও। তার মধ্যে রাজ্য বিজেপির কিছু নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া ঘিরে স্বাভাবিক ভাবে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে নয়া কমিটি তৈরি করতে চান শাহ। সেই কমিটি তৈরির জন্য এই নেতাদের নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। শুভেন্দু বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার হাতেই রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পড়বে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর অদূর ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে।
মুকুল রায়কেও ঘিরে বিজেপিতে জল্পনা রয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতির সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। মুকুল রায় নিজেও বৈঠকে গরহাজির থাকছেন। সেই সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য বিজেপি প্রবল অস্বস্তিতে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই পরিস্থিতি বড় বদলের পথেই হাটতে পারে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মাত্র ৬ মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দুকে তাই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদও তাকে দেওয়া হয়েছে। আবার প্রশ্ন উঠছে, এই নেতাদের দিল্লি ঢেকে এনে বর্তমানে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে কোনও বার্তা দিতে চাইল কিনা শীর্ষ নেতৃত্ব।