কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভোর্স হয়েছে। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও খাতায় কলমে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহিত। রত্না তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, শোভন ও বৈশাখী এক ছাদের তলায় থাকেন বেশ কয়েক বছর। আবার ডিভোর্স হলেও এখনও সিঁদুপ পরেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন ? তাঁরা কি বিবাহিত ? ব্যক্তিগত-তে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২১ সালে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবি ভাইরাল হয়। শুধু সিঁদুর পরানো নয়, শোভন-বৈশাখী একসঙ্গেই থাকেন। তাহলে কি তাঁরা বিবাহিত ? এই প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখী বলেন, 'বিবাহের সজ্ঞা যদি 'যদিদং হৃদয়ং মম তদিদং হৃদয়ং তব' উচ্চারণ করা হয়, তাহলে আমরা জানি না বিবাহিত কিনা। যদি মালাবদল করা ইত্যাদি করলেই শুধু বিয়ে বলা যেতে পারে, তাহলেও জানা নেই আমরা বিবাহিত কি না। তবে বিবাহিত হওয়ার মানে যদি হয় সুখে দু:খে একে অপরের পাশে থাকা, সাহায্য করা, ওই যে বেটার হাফ কথায়া হয় না, আমরা আসলে একে অপরের পরিপূরক। যদি এটা বিবাহিত হয়ে থাকা বলে, তাহলে আমরা বিবাহিত।'
যদিও বিতর্কের সূত্রপাত ২০২১ সালে। দশমীতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে ছবিটি ফেক বলে মনে করা হয়েছিল, কিন্তু, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ছবিটি আসল। এরপরই শুরু হয় আলোড়ন।
এই নিয়ে বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছিলেন ঋষি চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি কিছুদিন আগে বলেন, 'সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোয় হতেই পারে। দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। আইনত যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত। তাঁর এখনও ডিভোর্স হয়নি। এখনও মামলা চলছে। তাহলে কীভাবে তিনি অন্য একজন মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন?'