শতাব্দী প্রাচীন জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ৩ জনের মৃত্যুর পরে টনক নড়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। সোমবার পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব রেলের হাওড়া, মালদা, আসানসোল ও শিয়ালদা ডিভিশনের সব স্টেশনে পুরনো জল ট্যাঙ্কগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট দেখে বেশকিছু ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলা হবে। বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভেঙে পড়া জলের ট্যাঙ্কের জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে তদন্ত কমিটি।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বহু স্টেশনে ওয়াটার ট্যাঙ্ক রয়েছে। অনেক ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছে। মোট ১২টি তেমন ট্যাঙ্ক বাছা হয়েছে। হাওড়ায় ৩টে আসানসোল ৮টা, মালদা ১টা। শিয়ালদা স্টেশনে সেকরম কোনও ট্যাঙ্ক নেই। রেলের স্টেশন চত্বরে মোট ৪৮টি ট্যাঙ্ক ভাঙা হবে। কিছু ওয়াটার ট্যাঙ্ক বিপজ্জনক। সেগুলিকেও ঠিক করা হবে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে প্ল্যাটফর্মের উপরেই তিনটি, স্টেশন চত্বরে ১৪টি ও আবাসন এলাকায় ৩৫টির মতো পুরনো জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। বর্ধমানের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও ১৯৩৫ সালে তৈরি একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, আইআইটি বা অন্য কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ নিতে পারে রেল। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ট্যাঙ্কটি কত গ্যালন জল ধারণ করতে পারবে, সে ক্ষেত্রে ট্যাঙ্কের ভিতরে ক্ষয়ের পরিমাণ কেমন হবে, কাঠামোয় কতটা চাপ পড়ছে, সেই চাপ নেওয়ার ক্ষমতা স্তম্ভগুলির আছে কি না, সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনে ১৭৪ বছরের পুরনো ট্যাঙ্ক ভেঙে জলের তোড় ও লোহার চাদরের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। অন্তত ৩৪ জন জখম হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও জনা দশেক ভর্তি রয়েছেন। ছ’বছরের এক বালিকার অস্ত্রোপচার হবে। বাকিদের শীঘ্র ছেড়ে দেওয়া হবে।